ছুটির আগেই লঞ্চের কেবিন টিকিট হাওয়া

হাসিবুল ইসলাম, বরিশাল ॥ মহান বিজয় দিবসের ছুটি ও সাপ্তাহিক সরকারি ছুটি মিলিয়ে প্রায় অর্ধসপ্তাহ ছুটি পাওয়ায় আবারও দক্ষিনাঞ্চলে আসা শুরু করেছে দূর-দুরন্তে থাকা কর্মজীবীরা। আর এরই পরিপ্রক্ষিতে এখনই উধাও হয়ে গেছে ঢাকা-বরিশাল রুটের বিলাস বহুল লঞ্চের কেবিনের টিকিট। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ দাবি ৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রায় সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। তবে সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষ লঞ্চের স্টাফদের আতাত করে অসদুপায়ে টিকিট সংকট সৃষ্টি করেছে। নিধারিত সময়ের আগে যা অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করা হবে। তবে যাত্রীদের এমন অভিযোগের কথা অস্বীকার করে লঞ্চ মালিক সমিতির সদস্যরা বলছেন, কোন লঞ্চের টিকিট কালোবাজারে বিক্রি হয় না।

জানা গেছে, ১৬ ডিসেম্বর রোববার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকবে। এর আগে শনি ও শুক্রবার সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির দিন। ফলে একটানা ৩ দিন অর্থাৎ প্রায় অর্ধসপ্তাহ ছুটি পাওয়ায় কর্মব্যস্ত মানুষগুলো বাড়িতে ফিরে আসার জন্য ব্যস্ত হয়ে ওঠে। এই অবস্থায় যে যার মতো করে ছুটে আসে বাড়িতে। ঢাকা থেকে বরিশালে আসার সব থেকে সহজ, সাছন্দ্য, আরামদায়ক ও সাশ্রয়ী হল নৌ পথ। যার ফলে সব সময়ই লঞ্চের যাত্রীদের ভিড় থাকে বেশি। আর একটানা ছুটি পেলে তো কথাই নেই। যার ফলে এবারও দূর-দুরান্ত থেকে বরিশালে আসা, বিশেষ করে ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে বরিশালের উদ্দেশ্যে আসা যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে । লঞ্চ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই সব কেবিন ও সোফা মিলিয়ে প্রায় সব টিকিট বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে একটি কেবিন ও সোফার জন্য চলছে হাহাকার। অনেক যাত্রী নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্য দিতে চাইলেও টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীর সহসভাপতি ও বরিশাল চেম্বার অব কমার্স ইন্ড্রাসস্ট্রিজের সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, ১৬ডিসেম্বর ছুটির সাথে শুক্র শনি ২দিন বাড়তি ছুটি হওয়ায় যাত্রী চাপ একটু বেশি। সকল লঞ্চের টিকিট অগ্রিম বিক্রি হয়ে গেছে।