হরতাল অবরোধের মধ্যেও গৌরনদীর বাসীর ওয়াদা রক্ষায় ছুটে এসেছেন স্বরাষ্ট সচিব

মোঃ জামাল উদ্দিন, গৌরনদী ॥ আমরা গৌরনদীবাসী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনারয়ের মাননীয় সিনিয়র সচিব জনাব সি কিউ কে মুসতাক আহমদ মহোদরে কাছ থেকে অনেক কিছু পেয়েছি। তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তাকে বিজয়ের জানাই সশ্রদ্ধ অভিন্দন ও কৃতঞ্জতা। স্বরাষ্ট সচিব সি কিউকে মুসতাক আহমদ আমাকে ওয়াদা দিয়েছিলেন গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের জন্য একটি এ্যাম্বুলেন্স প্রদান করবেন। সে ওয়াদা তিনি পালনও করেছেন বটে। তবে কারো মারফতে নয় , গত ১৩ ডিসেম্বর নিজে এসে স্বহস্তে গৌরনদী ফায়ার ষ্টেশনে এ্যাম্বুলেন্সটি হস্তান্তর করে ওয়াদা রক্ষা করলেন তিনি। ওইদিন সারা দেশে আধাবেলা হরতাল ডেকেছিল বিরোধী দল। তার পরেও আমাদের সাথে ওয়াদা রক্ষার জন্য তিনি গৌরনদীতে আসলেন। সর্ব প্রথমে তিনি গৌরনদীর প্রত্যন্ত অঞ্চল সাকোকাঠি গ্রামের একটি পাকা সড়কের নির্মান কাজের শুভ উদ্বোধন করেন। পরবর্তিতে তিনি গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসে এ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর শেষে গৌরনদী থানা কম্পাউন্ডে মতবিনিময় সভায় অংশ গ্রহন করেন। সেখানে স্থানীয়রা গৌরনদী থানাকে মডের থানায় রুপান্তরের দাবী তোলেন। তিনি তাদর দাবী পুরনের জন্য গৌরনদী থানাকে মডেল থানা ঘোষনা করেন। গৌরনদীর বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের জন্য তাকে গৌরনদী প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।

গৌরনদী প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি হিসেবে আমি তার কাছে একটি এ্যম্বুলেন্স চেয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আবেদন করেছিলাম। আমার আবেদনটি তার দপ্তরে পৌছেদেন গৌরনদী উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি খন্দকার শাহে আলম মঞ্জু। স্বরাষ্ট সচিব আমার আবেদনটি পাওয়ার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালককে গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের জন্য একটি এ্যাম্বুলেন্স প্রদানের নির্দেশ দেন। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ফায়ার সার্ভিসের জন্য একটি এ্যাম্বুলেন্স চাওয়ায় আমাকে ধণ্যবাদ জানিয়ে চিঠি লিখেন ফায়ার ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আবু নাঈম মোঃ শাহিদউল্লাহ। যে পত্রটি গুরুত্ব সহকারে গৌরনদী প্রেসক্লাবে সংরক্ষন করা হয়েছে। আমি তার উদ্দেশ্যে কিছু না বললেই নয়। তাই তার জনহিতকর কাজের কয়েকটি উদাহন তুলে ধরছি।
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ের দালাল চক্রের দ্বারা প্রতারনার শিকার হয়েছিলেন গৌরনদীর হোসনাবাদ গ্রামের আইনুল  হক। একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সত্যেও তাকে জাল সনদ প্রদান করেছিল তারা। তার পুত্র সোহেল রানার পুলিশ কনেষ্টবল পদে চাকুরির প্রাক্কালে ওই সনদটি আসল ভেবে জমা দেন। কিন্ত ওই সনদটি জাল প্রমানিত হওয়ার পর সোহেল রানা  চাকুরি হারায়। প্রতারনার অভিযোগে মামলা হয় মুক্তিযোদ্ধা আয়নূল হক ও পুত্র সোহেল রানার বিরুদ্ধে। আয়নুল হক ছিলেন ক্যান্সারের রোগী। তিনি কিছুদিন আগে মারা যান। হারানো চাকুরি ফিরে পাওয়ার জন্য বিভিন্ন স্থানে ধর্ন্য দিয়ে নিরাশ হয় সোহেল ও তার পরিবারের লোকজন। অতপর তার সহয়তায হাত বাড়ান সমাজ সেবক খন্দকার শাহে আলম মঞ্জু । স্বরাষ্ট সচিবের সহতায় পুনরায় হারানো চাকুরি ফিরে পেয়েছে সোহেল রানা। তার প্রয়াত পিতা মৃত্যুর আগে এ খবরটি জানতে পেরেছিলেন। আমি ও দুিুর্দনে এ অসহয় পরিবারটির পাশে দাড়াতে পেরে নিজেকেও  ধন্য মনে করছি।

গৌরনদী থানা মোহাম্মাদিয়া এতিমখানায় প্রায় ২ শতাধিক এতিম শিশু রয়েছে। অথচ সেখানে মাত্র ৩৫জন এতিম শিশুর জন্য ক্যাপিটেশন বরাদ্দ দেয়া হয়। স্বরাষ্ট সচিবের সহয়তায় আগামী জানুয়ারী মাস থেকে এখানকার এতিমদের ক্যাপিটেশন বৃদ্ধি পাবে। হোসনাবাদ নিজাম উদ্দিন কলেজটি প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৪০ বছর পরে ডিগ্রী কলেজে উন্নীত হয়েছে। সেখানে খোলা হয়েছে ২টি নুতন বিভাগ। এ ক্ষেত্রে ও তিনি সার্বিক সহযোগিতা করেছেন স্বরাষ্ট্র সচিব মুসতাক আহমদ। তিনি কৃষি সচিব থাকা কালীন গৌরনদীর শরিকল এলাকায় খাল খনন,রাস্তা- ঘাট, পুলব্রীজ ও কৃষি সেচের জন্য ড্রেন নির্মান করে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেন। ওই সময় তিনি বরিশাল ও গৌরনদী এলাকার জন্য অতিরিক্ত সার বরাদ্দ দেন। যার সুফল ভোগ করেছে অঞ্চলের কৃষকরা। গৌরনদী বাসীর কল্যানে তিনি সব সময় কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি গৌরনদীর সাংবাদিকদের কল্যানের জন্য প্রেসক্লাবের তহবিলে নিজ তহবিল থেকে ২০ হাজার টাকা প্রদানের আশ্বাষ দেন। গৌরনদীবাসীর কল্যানে তাকে কাজ করতে সর্বদা অনুপ্রেরনা যোগান যে মানুষটি, তিনি হলেন খোন্দকার শাহে আলম মঞ্জু। আমি তাকে ও গৌরনদীবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।