ঢাকায় বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় আটক কিবরিয়ার পরিবারে চরম উৎকন্ঠা – আগৈলঝাড়ার গ্রামে মেলেনি তার কোন রাজনৈতিক পরিচয় – দোষি হলে শাস্তির দাবি করেছেন বাবা

আগৈলঝাড়া সংবাদদাতা ॥ সময়ের আলোচিত ঢাকায় দর্জি কারিকর বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় ডিবির হাতে আটক হওয়া আগৈলঝাড়ায় কিবরিয়ার পরিবার রয়েছে চরম উৎকন্ঠায়। আটক কিবরিয়ার আগৈলঝাড়ার বাড়িতে পাওয়া যায়নি কোন রাজনৈতিক পরিচয়। বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার দাবি করে কিবরিয়ার বাবা দাবী করেছেন- রাজনৈতিক রেশারেষিতে কিবরিয়াকে যেন দোষী সাব্যস্ত না করা হয়।ঢাকায় বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় আটক কিবরিয়ার পরিবারে চরম উৎকন্ঠা - আগৈলঝাড়ার গ্রামে মেলেনি তার কোন রাজনৈতিক পরিচয় - দোষি হলে শান্তির দাবি করেছেন বাবা

কিবরিয়া আটকের খবর শুনে গতকাল শুক্রবার বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার কিবরিয়ার চেংগুটিয়া গ্রামের বাড়িতে গিয়ে কথা হয় তার বাবা-মা’র সাথে। কিবরিয়ার বাবা সেনাবাহিনীর (অবঃ) ওয়ারেন্ট অফিসার আতিকুর হাওলাদার জানান, তার ছেলের পুরো নাম এইচএম কিবরিয়া। সে গৌরনদী উপজেলার চাঁদশি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ঢাকার রাইফেলস পাবলিক কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে বর্তমানে ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষে পড়াশুনা করছে। কিবরিয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া লেখা অবস্থায়ও কোনদিন শুনিনি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সে সম্পৃক্ত রয়েছে।

আদালতের তৎপরতার কারণে ওই মামলায় ডিবি পুলিশ সাভার থেকে হত্যার অন্যতম নায়ক শাকিল ভেবে ভুল করে কিবরিয়াকে আটক করে। তাকে আটকের পর ডিবি পুলিশ আতিকুর রহমান শাকিলের বাবা হিসেবে তার সাথে একাধিকবার ফোনে কথাও বলেছেন। তিনি কিবরিয়া নির্দোষ জানালেও ডিবি নাছোড়বান্দা। ১৮ দলীয় হরতাল চলাকালিন সময়ে বিশ্বজিৎ মারা যায়।

গত ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আশুলিয়া গাজির চর এলাকা থেকে কিবরিয়াকে আটক করে। ওই দিন কিবরিয়া আমার বাড়ির ভাড়া আদায়ের জন্য ওখানে ভাড়াটিয়াদের কাছে গিয়েছিল। ওইদিন ভোর রাতে ডিবি পুলিশ তাকে ওই বাড়ি থেকে বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে। কিবরিয়ার মা সোহেদা বেগম জানান, কিবরিয়া তার বড়ভাই আসাদুজ্জামানের শেওড়াপাড়ার বাসায় থেকে লেখাপড়া করত।

অন্যান্যদের মত কিবরিয়ার বাবা আতিকুরও বিশ্বজিৎ হত্যার দাবি করে বলেন, তদন্ত করে কিবরিয়া অপরাধী হলে তার উপযুক্ত শাস্তি হোক। কিন্ত রাজনৈতিক রেশারেষি ও উচ্চ আদালতের নজরে আনার জন্য দায় এড়াতে ডিবির কারণে অহেতুক তাকে যেন শাস্তি পেতে না হয়। কিবরিয়া অপরাধী না হলে তাকে যেন দ্রুত মুক্তির দেয়া হয়। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে কিবরিয়া মেঝ। বড় ভাই আসাদুজ্জামান রোমান সিলেট শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে বর্তমানে পিকেএসপিতে কর্মরত। স্থানীয় প্রবীন ব্যক্তি আক্কেল আলী মৃধা (৮০) জানান, কিবরিয়া ও তার বড় ভাই আসাদুজ্জামান এলাকায় কোন দিন কোন মারামারি বা কোন রকম অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল না। আতিকুরের পরিবার এলাকায় নম্র ও ভদ্র হিসেবেই পরিচিত।

স্থানীয় রাজিহার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইলিয়াস তালুকদার বলেন, আতিকুর রহমানের পরিবার এলাকায় কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নয়। তার পরিবার এলাকায় ভদ্র পরিবার হিসেবে পরিচিত। আগৈলঝাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, কিবরিয়ার ব্যাপারে তার স্থানীয় থানায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।