বিশ্বজিৎ’র ঘাতক শাকিল গ্রেপ্তার, পিতার মৃত্যু

আহমেদ জালাল, বরিশাল ॥ পুরান ঢাকায় টেইলার ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাস’র ঘাতক রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বরগুনার বেতাগী থানার দেশন্তরকাঠি গ্রামে শনিবার ভোর রাতে ঢাকা মেট্রো ডিবি পুলিশ গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। স্থানীয় কাঞ্চন মিয়ার বসত ঘর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে রাজধানীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ওদিকে ঢাকা মেট্রো ডিবির এএসপি সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে ছিলেন বাকেরগঞ্জ থানার ওসি নুরুল ইসলাম। সূত্র জানায়, রাতভর অভিযান চালিয়েূ শাকিলকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।

এদিকে, শাকিলের বাবা পটুয়াখালী কর বিভাগের চতুর্থ শ্রেনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আনসার মিয়া। গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে আনসার মিয়া স্ট্রোক করেন। শনিবার ভোর সাড়ে ৬টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাপসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। কর্তব্যরত চিকিসক আব্দুল মান্নান জানান,আনসার মিয়া শনিবার ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি স্টোক এ মারা গেছেন। তার লাশ গ্রামের বাড়ি বরিশালে বাকেরগঞ্জের পাদ্রিশিবপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ডের পর আনসার মিয়ার পরিবার বরিশাল নগরীর সাগরদীতে ভগ্নিপতির বাসায় থাকে। এর আগে শাকিলের বাবা আনসার সাংবাকিদের বলেছিলেন বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ডে শাকিল জড়িত হওয়ার বিষয়টি তিনি টিভির পর্দায় দেখে হতবাক হয়ে যান। তিনিও ঘাতকেদের বিচার চেয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত: গত ৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের রাজপথ অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে অবরোধ সমর্থক ও বিরোধীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর কয়েকজন যুবকের পিটুনি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন শাঁখারিবাজারের দর্জির দোকানি বিশ্বজিত। পরদিন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মীরা ওই হামলা চালায়।একটি ইংরেজি দৈনিকের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে নাজিম আহমেদের আবেদনে বিশ্বজিত হত্যায় জড়িত হিসাবে রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিল, মীর মো. নূরে আলম, মাহফুজুর রহমান, ওবায়দুল কাদের, এমদাদুল হকের নাম উল্লেখ করা হয়। এদের সঙ্গে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের আর্জিও জানানো হয় আবেদনে।