চেয়ারম্যানের শ্যালক ও ভাতিজা বলে কথা!

দেলোয়ার সেরনিয়াবাত ॥ তারা একজন হচ্ছে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের সদস্য গোলাম মোর্তুজা খানের শ্যালক ও আরেকজন হচ্ছে ভাতিজা। তাই তারা কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে এলাকায় একের পর এক অপকর্ম করে চললেও থানা পুলিশ তাদের কিছুই করতে পারছেন না। ফলে এদের অপকর্ম দিন দিন বেড়েই চলেছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত দু’দিনের ব্যবধানে তাদের বিরুদ্ধে এক প্রভাবশালী ছাত্রলীগ নেতাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত ও এক যুবতীকে যৌণ হয়রানীর অভিযোগে থানায় পৃথক ভাবে দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এরপূর্বে চেয়ারম্যানের শ্যালকের অব্যাহত উত্যক্তের কারনে এক স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যা করলেও বিনাবিচারে পার পেয়ে যাওয়ায় তাদের বখাটেপনা বেড়েই চলেছে। সূত্র মতে, রবিবার রাতে উপজেলার জোবারপাড় এলাকায় সার্কাস দেখতে যান  সুজনকাঠী গ্রামের মৃত আলমগীর গোমস্তার কন্যা সোনিয়া গোমস্তা। এসময় চেয়ারম্যানের শ্যালক আমিন হাওলাদার ও ভাতিজা পলাশ খান সোনিয়াকে বিভিন্ন ধরনের যৌণ হয়রানী শুরু করে। একপর্যায়ে সোনিয়ার ওড়না কেড়ে নিয়ে ওই বখাটেরা সার্কাস প্যান্ডেলের সম্মুখে বসে উল্লাস করতে থাকে। এসময় স্থানীয় কতিপয় যুবকেরা বখাটেদের প্রতিবাদ করায় তাদের শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত করা হয়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এরপূর্বে শনিবার তুচ্ছ ঘটনার জেরধরে আমিন ও পলাশ হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে উপজেলা সদরের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাব্বি হাওলাদারকে। গুরুতর আহত ছাত্রলীগ নেতা রাব্বিকে আগৈলঝাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপরদিকে ছাত্রলীগ নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে রবিবার কলেজ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছেন।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রভাব খাটিয়ে তার শ্যালক আমিন হাওলাদার ও ভাতিজা পলাশ খান একের পর অপকর্ম করে গেলেও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছেন। এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানার ওসি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা গোলাম মোতুর্জা খান বলেন, অপরাধী যেই হোক না কেন আইনের মাধ্যমে তাকে শায়েস্তা করা হবে।