বাংলাদেশীদের আত্মীয়তায় আমি মুগ্ধ ভারতের পৌর মেয়র সুনীল মুখার্জী

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত পৌরসভার মেয়র সুনীল মুখার্জী বলেছেন, আমি বাংলাদেশীদের আত্মীয়তায় মুগ্ধ। আমরা পশ্চিম বাংলার অধিবাসী হলেও বাংলাদেশে এসে আমরা মনে করি আমাদের নিজেদের বাড়ীতে আছি। দুই বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ভ্রাতৃত্ববোধ আমরা একইভাবে উপলব্ধি করি। গত ২৫ ডিসেম্বর বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. অশোক গুপ্ত’র ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীস্থ বাসায় বেড়াতে এসে তিনি উল্লেখিত কথাগুলো বলেছেন। ড. অশোক গুপ্ত’র আমন্ত্রণে তিনি বাংলাদেশে সাতদিনের সফরে এসেছেন। তিনি আরও বলেন, আমি বিশেষ ভাবে ড. অশোক গুপ্ত’র প্রতি কৃতজ্ঞ। এপার বাংলা ওপার বাংলা আমাদের একটি অবিচ্ছেদ অংশ মনে করি। আমাদের পূর্ব পুরুষরা পূর্ব বাংলার অধিবাসী ছিলেন। পূর্ব বাংলা ও পশ্চিম বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য একইভাবে বা সম্মিলিত ভাবে উদ্যাপনের জন্য মৈত্রী সাংস্কৃতিক সংগঠন নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন গঠনের প্রস্তাব করছি। ড.অশোক গুপ্ত একজন স্বনামধন্য রাজনীতি ও অর্থনীতিবিদ। আমি ব্যক্তিগত ভাবে চাই যাতে ড.অশোক গুপ্ত’র মত ব্যক্তিত্ব আগামীতে রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বে আসীন হতে পারে। যাতে করে বাংলাদেশে তরুণ নেতৃত্ব সৃষ্টি হবে এবং দেশ স্বনির্ভর, স্বাবলম্বী হবে। উপস্থিত সুধীজন ও দেশবাসীর প্রতি আমার এই আহ্বান। আমার পক্ষ হতে ড.অশোক গুপ্ত সহ সকল বাংলাদেশীদের জন্য রইল শুভ কামনা। আমি আমার পক্ষ হতে বাংলাদেশীদের আত্মীয়তায় মুগ্ধকে কলকাতা সফরের আমন্ত্রণ জানাই। উপস্থিত সকলকে আমার ও আমার সফর সঙ্গীদের পক্ষ হতে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন। এ সময় ড.অশোক গুপ্ত ও সুনীল মুখার্জী সাথে বাংলাদেশ ভারতের বন্ধুত্বের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আলাপ অলোচনা হয় দু’জরে মধ্যে। মেয়র সুনীল মুখার্জী সাথে ছিলেন, অল ইন্ডিয়া মেডিকেল এসোসিয়েশন প্রেসিডেন্ট ড. অর্বেন্দু, শান্তিনিকেতন প্রফেসর গীতিমালা দেবশ্রী, ড. মলয় সাহা সহ বিশিষ্ট ব্যবসায়ীবৃন্দরা। উক্ত আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল জেলা-উত্তর বিএপি’র সাধারণ সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, ঢাকা মহানগর যুবদল-উত্তর সহসাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জয় গুপ্ত, ঢাকা মহানগর জাতীয়তাবাদী তরুণ দলের সাবেক সভাপতি এম.সুলতান মাহমুদ, বরিশাল জেলা উত্তর জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক প্রমূখ।