বরিশালে খাল রক্ষায় চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ ধান নদী খাল এই তিনে বরিশাল। বর্তমানে বরিশাল শহরের আটটি খালের অস্তিত্ব থাকলেও তা ক্রমশ প্রভাবশালীদের দখলদারিত্বে সংকুচিত হয়ে পড়ছে। যে কারনে কৃষি কাজে প্রয়োজনীয় পানির সংকট দিন দিন বেড়েই চলেছে। নগরীর লাকুটিয়া খালে প্রান্তিক কৃষকের দুর্ভোগের চিত্র চিত্রাংকনের মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উন্নয়ন সংস্থা প্রান্তজন ও ক্যাম্পেইন লীড উত্তরন’র এর আয়োজনে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। গ্রামীণ জীবনযাত্রার স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য প্রচারাভিযান (সিএসআরএল) সহায়তায় বরিশাল মহামায়ার পোল সংলগ্ন লাকুটিয়া রায়ের খালে প্রান্তিক কৃষক ও জেলেদের দুর্ভোগের চিত্রাংকন প্রতিযোগীতার মাধ্যমে অভিনব কর্মসূচী পালন নিয়ে পুরো নগরী জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় বিভিন্ন বয়সের চিত্র শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমাজ সেবক আঃ মান্নান হাওলাদার , শহিদুল ইসলাম, এনায়েত হোসেন মোল্লা, জসিম উদ্দিন, চারুকলা পরিষদের সাবেক সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ, ৭১ টিভি’র বরিশাল প্রতিনিধি বিধান সরকার, প্রান্তজন’র নির্বাহী পরিচালক এস.এম শাহাজাদা, প্রান্তজন’র ম্যানেজার ইব্রাহীম হামিদ মাসুম, রফিকুল ইসলাম আলিম প্রমূখ।

চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় বক্তারা বলেন, বরিশালের খালগুলো ক্রমশ প্রভাবশালীদের দখলদারিত্বে সংকুচিত হয়ে পড়ছে। সংকুচিত হওয়া খালের মতোই একটি খাল বরিশাল শহরের জেলখানার পাশঘেষে উত্তরে লাকুটিয়া হয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলার ভেতর থেকে চলে গেছে লাকুটিয়া রায়ের খাল। কৃষকের ‘প্রাণ’ লাকুটিয়া রায়ের খালের ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করে প্রায় ২ হাজার ৭’শ কৃষক পরিবার। খালের মধ্যে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে ব্রীজ নির্মান করে বাঁধ অপশারন না করা, খালের ওপর ছোট আকারের কালভার্ট নির্মাণ, খালে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার, অবৈধ দখল, এছাড়া খালের বাবুরহাট পর্যন্ত অংশে খালের পাশে শত শত বসতিরা খাল আটকে রেখে নিজ নিজ প্রয়োজনে ব্যবহার করছে। কোথাও কোথাও খালের প্রস্থ প্রকৃত আকারের চেয়ে বেশ কমে ক্ষীনকার অবস্থায় ঠেকেছে। অবৈধ দখল ও সংকুচিত হওয়ার কারনে লাকুটিয়া রায়ের খালে অবাদ পানি প্রবাহ মারাত্বক ভাবে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। ফলে খালের ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করা কৃষকের অবস্থা দিন দিন করুন হয়ে যাচ্ছে এবং কৃষি উৎপাদনে মারাত্বক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। লাকুটিয়া রায়ের খালটি দখলদার মুক্ত ও খনন করে অবাদ পানি প্রবাহ নিশ্চিত করলে এ অঞ্চলের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, কৃষকদের জীবন-জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং স্থানীয় পরিবেশ রক্ষা পাবে যা ভবিষ্যত ঝুঁকি মোকাবেলায় কৃষকদের সক্ষম করে তুলবে বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন।

বরিশালে খাল রক্ষায় চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা