বরিশাল-ভোলা-লক্ষীপুর রুটে ফেরি সংকটে তীব্র যানজট

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশাল-ভোলা-লক্ষীপুর রুটে ফেরি সংকট ও ডুবোচরের কারণে পারাপারে মারাত্মক বিঘেœর সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের। ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকেও ফেরির দেখা মিলছে না। ফলে উভয় পাড়ে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজটের।

ঘাটে অপেক্ষমান পরিবহন ও ট্রাক চালকদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, এ রুটে বিকন ও মার্কা বাতি না থাকায় রাতের বেলায় ফেরি চলাচল করতে পারছে না। এছাড়াও জরুরি ভিত্তিতে এ নদীতে ড্রেজিং করা না হলে যেকোনো সময় এ রুট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের জেলা ভোলার সাথে সড়কপথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে ভোলা-লক্ষীপুর ও ভোলা-বরিশাল ফেরি সার্ভিস। এসব রুট দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক যাত্রী ও মালবাহী যানবাহন এবং হাজার হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করে। এ রুটে চারটি ফেরি চলাচল করলেও প্রায় সময়ই একটি ফেরি বিকল থাকে। তখন যাত্রীদের সীমাহিন ভোগান্তি পোহাতে হয়।

এ ব্যাপারে কামিনী ফেরীর চালক নাজিম উদ্দিন বলেন, চলতি শীত মৌসুমে ভোলা-লক্ষীপুর ও ভোলা-বরিশাল রুটের বিভিন্ন চ্যানেলে জেগে ওঠা ডুবোচর ও ঘন কুয়াশার কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি আরো জানান, বর্ষা মৌসুমে এ পথে দু’ঘন্টা সময় লাগলেও এখন যেতে সময় লাগছে তিন থেকে চার ঘন্টা। অপরদিকে, দীর্ঘদিন থেকে সাধারণ যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকেরা এসব রুটে ফেরি সার্ভিস বাড়িয়ে দেয়ার দাবি জানিয়ে আসলেও তা কোনো কাজেই আসেনি। প্রায় সময়ই ভোলা অংশের ইলিশা ও লক্ষীপুর অংশের মজুচৌধুরীর হাট ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘলাইন লেগে থাকে। একই অবস্থা বরিশাল-ভোলা রুটের ভেদুরিয়া ও বরিশাল অংশের লাহারহাট ঘাটে। এ ব্যাপারে ভোলা-লক্ষীপুর ফেরি ঘাটের ইনচার্জ মোঃ সিহাব উদ্দিন বলেন, ডুবোচর সমস্যা তো আছেই। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করতে হলে জরুরি ভিত্তিতে নদীতে ড্রেজিং প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, এ রুটে বর্তমানে দুটি ফেরি চলাচল করছে। কিন্তু যানবাহনের চাপ অনেক বেশি। আরেকটি ফেরির কথা সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।