বরিশালে বহুতল ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই

শুভব্রত দত্ত, বরিশাল ॥ নগরীতে প্রায় শতাধিক ৫-১২তলা পর্যন্ত বিলাসবহুল বহুতল ভবন রয়েছে। ১০থেকে ২৫তলা পর্যন্ত উঁচু ভবন নির্মানাধিন অবস্থায় রয়েছে আরো কয়েকটি। কিন্তু ভবনগুলোতে নেই অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা।

বরিশাল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নগরীর মাত্র ৯টি বহুতল ভবনে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রয়েছে। অথচ বাকি ভবনগুলোর বাসিন্দাদের ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করতে হচ্ছে। সূত্রটি আরো জানায়, এরমধ্যে নিজস্ব অর্থায়নে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা চালু রেখেছে মাত্র ৪টি প্রতিষ্ঠান।

বরিশাল সিটি করর্পোরেশনের চিফ অ্যাসেসর আবুল মাসুদ মামুন জানান, ৬ তলার অধিক উঁচু ভবনগুলোকে বহুতল ভবন হিসেবে চিহ্নিত করা  হয়েছে। ওই ভবন নির্মাণে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে অনাপত্তিপত্র গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নিয়মানুযায়ী অনাপত্তিপত্র পাওয়ার ৩০টি শর্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সাধারণ সিঁড়ি পথের ব্যবস্থা, জরুরী নির্গমনের পথ, ছাদের ওপর ১০ হাজার গ্যালন পানি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ট্যাংকে পানি সংরক্ষণ, ২০ হাজার গ্যালন পানি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ভূগর্ভস্থ ট্যাংক, ফায়ার স্পোক ডিটেকক্টর, অগ্নিনির্বাপক প্লাটফর্ম এবং অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রাংশের যথাযথ মজুদ।

এবিষয়ে জেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক মো: লুৎফর রহমান জানান, জেলায় মাত্র ৪টি ভবন মালিক উল্লেখিত শর্ত পূরণ করে অনাপত্তিপত্র নিয়েছে। ওই ভবন ৪টি হচ্ছে নগরীর নির্মাণাধীন ডেসটিনি টাওয়ার(২৫ তলা),আবাসিক হোটেল অ্যাথেনা ও গ্রান্ড পার্ক এবং ফকির কমপ্লেক্স।

এদিকে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গির (সদর রোড) সড়কে গত বছর উদ্বোধন করা হয়েছে ১২তলা আবাসিক হোটেল এরিনা। এরপূর্বে রয়েছে এসএস টাওয়ার,ফেয়ার হেলথ ক্লিনিক,আম্বিয়া হাসপাতাল। নগরীতে শতাধিক বহুতল ভবন থাকলেও সেগুলোতে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করে অনাপত্তিপত্র নেয়া হয়নি। এসব ভবনে লোক দেখানো ৭/৮ টি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক মো: লুৎফর রহমান আরো জানান, অনাপত্তিপত্র পাওয়ার জন্য বেশকিছু ভবন মালিকের আবেদন মহা-পরিচালকের দফতরে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।