অবশেষে নৌ-যান শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। বিশ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির আশ্বাসে শ্রমিক ফেডারেশন চলমান নৌ ধর্মঘট থেকে সরে এসেছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বিআইডব্লিউটিএর সভা কক্ষে নৌযান মালিক, শ্রমিক ও সরকার পক্ষের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে তুমুল আলোচনা ও দরকষাকষি শেষে ধর্মঘটী শ্রমিকরা এ সিন্ধান্ত নেয়। এদিকে গতকাল থেকেই ঢাকা ও বরিশাল প্রান্ত থেকে গন্তব্যের উদ্যেশ্যে লঞ্চ ছেড়েগেছে ।

লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সাঈদুর রহমান রিন্টু জানান, শ্রমিকদের বেতন ভাতা ৪০ ভাগ বৃদ্ধির দাবীতে শ্রমিক সংগঠন গুলো ধর্মঘট আহ্বান করে । গতকাল বৈঠকে কয়েক দফা দরকষাকষির পর ২০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় শ্রমিক পক্ষ। তিনি আরো জানান, শুক্রবার রাত থেকেই ঢাকা প্রান্ত ও বরিশাল প্রান্ত থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে ।

এদিকে  গতকাল শুক্রবার দিন ভর বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে কোন লঞ্চ চলাচল করেনি। সকালে নৌ-যান শ্রমিকেরা বরিশাল লঞ্চঘাটে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। বিআইডব্লিউটি-এর বরিশাল নদী বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক  মোঃ আবুল বাসার মজুমদার জানান, তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুক্রবার তিনটায় শ্রমিক ও মালিকদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান, লঞ্চ মালিক সমিতির লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি কেএম মাহমুদুর রহমান , যাত্রী পরিবহন সংস্থার সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম), সহ-সভাপতি সাঈদুর রহমান রিন্টু, গোলাম কিবরিয়া টিপু, মদিনা ট্রেডিং  করপোরেশনের মালিক হাজী মো. সেলিম, শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি চৌধুরী আশিকুল আলম । নদী মাতৃক বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে নৌ-ধর্মঘটের কারনে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পরেছেন। শুক্রবার সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, লঞ্চ বন্ধ থাকায় যাত্রী গন্তব্যে ছুটছে ট্রলার ও স্পীট বোডে। লঞ্চ ধর্মঘটের ফলে গোটা দক্ষিনাঞ্চলে এখন বাড়তি চাপ পড়েছে  বাস সার্ভিসগুলোতে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাস মালিকরা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে বাস মালিক সমিতির নেতারা দাবি করছেন যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে না।