আগৈলঝাড়ায় বীজতলা ও রোপিত চারা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত – সঠিক হিসেব নেই কৃষি অফিসে

আগৈলঝাড়া সংবাদদাতা ॥ চলতি বছরে বরিশালে ইতিহাসের সর্ব নিন্ম তাপমাত্রা আর শৈত্য প্রবাহ ও ও ঘনকুয়াশার কারনে মৌসুমের শুরুতেই আগৈলঝাড়া উপজেলার কৃষকের বীজ তলা ও জমিতে রোপনকৃত বীজ কোল্ড ইনজুরি রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে চাষিরা। তবে উপজেলা কৃষি অফিসের হাতে কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত বীজ তলা বা আবাদি জমির কোন সঠিক তথ্য নেই বলে জানান কৃষি বর্ককর্তা তাজুল ইসলাম।

জানাগেছে, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ৯ হাজার ৮শ’ হেক্টর জমি চাষাবাদের লক।ষ মাত্র ধরা হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষমাত্র ধরা হয়েছে ৪০ হাজার ৭ম ৯৫ মে.টন চাল।

চাষের জন্য নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসেই কৃষকরা বিভন্ন জাতের ধানের বীজ তলা তৈরি করেছেন। যা জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে জমিতে রোপন করার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যেই  আগাম চাষের জন্য চাষিরা জমিতে বপন করেছেন বীজ। গত দু’সপ্তাহ ধরে অব্যাহত শৈত্য প্রবাহ ও ঘনকুয়াশার কারনে কৃষকদের বীজ তলা বর্তমানে হলুদ বর্ন ও ফ্যাকাশে রং ধারন করে নষ্ট হওয়ার পথে। বীজ তলা নষ্ঠ হওয়ার কারনে কৃষকরা ইরি-বোরো চাষাবাদে তাদের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান। অনেক কৃষক তাদের নিচু জমিতে ভালো ফলন পাওয়ার আশায় ইতোমধ্যেই আগাম চাষে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপন করেছে।

উপজেলার গৈলা গ্রামের চাষি সুভাষ বাড়ৈ ৪০ শতক, একই গ্রামের সিরাজ আকন ২০ শতক জমিতে আগাম চাষে জমিতে বীজ বপন করেছিলেন। কোল্ড ইনজুরিতে তাদের জমির সমস্ত বীজ নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়াও একই গােমের কাদের আকন তার ৪০ শতক জমিতে বীজ বপন কররেও এর মধ্যে ২০ শতক জমির চারা কোল্ড ইনজুরিতে সম্পূর্ন নষ্ট হয়ে গেছে। যা আবার নতুন করে লাগাতে হবে বলে তারা জানান। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকার চাষিদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, ঘনকুয়াশা ও প্রচন্ড শীতে তাদের বীজতলা কোল্ড ইনজুরী রোগে আক্রান্ত হয়ে ক্ষেতের অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারনে তাদের ইরি বোরো চাষাবাদে জন্য চারা সংকটের মুখোমুখি হতে হবে। অনেক কৃষক কুয়াশা ও শীত কমতে থাকলে পুনরায় নতুন করে বীজতলা তৈরি করার কথাও জানিয়েছে। তবে এ পর্যন্ত উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তারা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত বীজ তলা ও জমিতে রোপিত কত হেক্টরের ধান বীজ নষ্ট হয়েছে তার কোন সঠিক হিসাব করতে পারেননি। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.তাজুল ইসলামও কোল্ড ইনজুরিতে নষ্ট হওয়া বীজ তলা বা নষ্ট হওয়া জমির কোন হিসেব দিতে পারেননি।