বরিশালে প্রভাবশালীদের চাপে ব্যাহত হচ্ছে পুলিশের কাজ – বিব্রত প্রশাসন

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বিভাগ জুড়ে যাত্রার নামে প্রশাসনকে নিয়মিত ব্লাক-মেইলিং করছে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল ও প্রভাবশালী ব্যাক্তিবর্গ। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য এমন অজুহাত দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাত্রার অনুমতি নেয়া হচ্ছে। আর এ জন্য তদবির করেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা। যাত্রার অনুমতি দেয়ার পর বসানো হয় সেখানে যাত্রার বদলে জুয়া ও জ্যান্ত পুতুলের অশ্লীল নৃত্যের আসর। উচ্চ মহলের চাপে পুলিশের স্বাভাবিক কাজকর্ম বিঘ্নিত হওয়ায় কিংকর্তব্যবির্মুহ বরিশালের জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন।
    
এদিকে জেলার পুলিশ সুপার এহ্সান উল্লাহ’র সাথে একান্ত আলাপকালে তিনি জানান, চলতি মাসে পুলিশ কনষ্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে শুধু রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের সুপারিশই নয়,ছিল বিভিন্ন মহলের ভয়ভীতি। আর এ পুলিশ কনষ্টেবল নিয়োগ পরীক্ষাটি ছিল আমার জীবনের প্রথম কনষ্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা।

তিনি বলেন, অধিকাংশ কনষ্টেবল পরীক্ষার্থীদের ধারনা, পড়াশুনা না করে উপর মহলের সুপারিশ ও মোটা অংকে টাকা দিয়েই চাকুরী নেয়া যায়। তাদের ধারনা স্বাভাবিক নিয়মে যেন চাকরী হবে না। পুলিশে চাকুরি নিতে হলে এ দুটো খুব বেশি প্রয়োজন। তবে পুলিশের মধ্যেও কিছু অসাধু কর্মকর্তা রয়েছে যারা বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ্যভাবে অর্থ উপার্জন করছে। বরিশালবাসীর কাছে আমার উদাত্ত আহ্বান রইল এসব প্রলোভনে আপনারা ভূল করবে না।

ওদিকে মেট্রো-পলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, যেসব মোটরসাইকেল মালিকদের বৈধ কাগজপত্র নেই, তাদেরকে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত কাগজপত্র ঠিক করার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। চলতি মাসে অবৈধ মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সেখানেও প্রভাবশালীদের প্রভাবের কারনে ব্যাহত হচ্ছে কার্যক্রম। প্রতিনিয়ত বাড়ছে অবৈধ্য মোটরসাইকেল চোরাকারবারীদের অপকর্ম,ইভটিজিং,ছিনতাই,ডাকাতি ও বিভিন্ন জঙ্গি তৎপরতা চালাচ্ছে।

এবিষয়ে নগরীর একাধিক সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ জানান, এ অনিয়মগুলো নিয়মে পরিনত হচ্ছে। এরকম অনিয়মকে বন্ধ করতে হলে দরকার দলমত নির্বিশেষে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে। দরকার দুর্বল চিন্তা চেতনার পরিবর্তন। প্রতিটি সাধারন জনগনকে সঠিকভাবে মেধা বিকাশের সুযোগ করে দিতে পারলে ১৯৭১ সালে স্বাদীনতা সংগ্রামের চেতনা বাস্তাবায়ন হবে।