নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশাল নগরীর কীর্তনখোলা নদী সংলগ্ন নির্মাণাধীন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এলাকায় রবিবার রাতে ভাইকে আটকে রেখে বোনকে গণধর্ষন করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার সকালে থানায় মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে দু’ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে।
নগরীর পলাশপুর এলাকার বাসিন্দা ধর্ষিতা কিশোরী (১৪) জানায়, রবিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে তার খালাতো ভাই কামরুলের সাথে নিজ বাসা থেকে গুচ্ছ গ্রামের খালার বাসায় যাওয়ার পথিমধ্যে ধর্ষক শাফায়েত ইসলাম রুবেল তার মুখ চেঁপে ধরে কীর্তনখোলা নদী সংলগ্ন নির্মাণাধীন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এলাকায় নিয়ে যায়। এসময় রুবেলের দু’সহযোগী তার খালাতো ভাই কামরুলকে মারধর করে জিম্মি করে রাখে। পরবর্তীতে তাকে পালাক্রমে ওই তিন বখাটে যুবক ধর্ষণ করে। এজাহারে জানা গেছে, ধর্ষণ শেষে ধর্ষিতা ও তার খালাতো ভাইয়ের কাছে ধর্ষকেরা চার হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে এবং এ ঘটনা প্রকাশ করলে তাদের হত্যা করারও হুমকি দেয়া হয়। ধর্ষিতা কিশোরীর মা জানান, তার মেয়ে বাসায় ফিরে ধর্ষণের কথা তার কাছে খুলে বললে তিনি গতকাল সোমবার সকালে কাউনিয়া থানা পুলিশের দারস্থ হন।
থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ধর্ষিতা কিশোরী বাদি হয়ে গতকাল সোমবার সকালে তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ধর্ষক শাফায়েত ইসলাম রুবেল (২২) ও একই এলাকার শাহজাহান মিয়ার পুত্র রুবেলকে (২১) গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ধর্ষক শাফায়েত ইসলাম নগরীর ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির কমান্ডারের ভাতিজা। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) প্রদীপ মিত্র জানান, ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শেবাচিম হাসপাতালে ও গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। অপর ধর্ষণকারীকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।