বরিশালে ছাত্রী হোস্টেলে ছাত্রলীগের সশস্ত্র মহড়া ॥ গভীর রাতে ছাত্রীদের বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ শাখার ভিপি ও প্রো-ভিপির বিচারের দাবিতে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গোটা ক্যাম্পাস। সোমবার রাতে নতুন করে হোস্টেলের সামনে ছাত্রলীগ নেতাদের সশস্ত্র মহড়া ও আন্দোলনরত ছাত্রীদের হুমকি দেয়ায় নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্রী হোস্টেল ক্যাম্পাসে সশস্ত্র মহড়া ও হুমকির প্রতিবাদে সোমবার রাত ১১টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ করেছে ছাত্রীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে রবিবার রাতে ভিপি ও প্রো-ভিপি ছাত্রী হোস্টেলে প্রবেশের ঘটনায় সোমবার দিনভর বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচী পালন করে হেস্টেলের ছাত্রীরা।

ছাত্রী নিবাসের বাসিন্দা কলেজ শাখা ছাত্র ফ্রন্টের যুগ্ম আহ্বায়ক নাবিলা আলম বলেন, সম্পূর্ন অবৈধভাবে কল্যান পরিষদের ভিপি আবু তালিব আব্দুল্লাহ মারুফ ও প্রোভিপি আবুল বাকি রবিবার রাতের বেলা হোস্টেলে প্রবেশ করে বিভিন্ন কক্ষে ঢুকে ছাত্রীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচারন করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে প্রথম দফায় শেবাচিম হোস্টেলের ছাত্রীরা সোমবার সকালে ভিপি মারুফ ও প্রো-ভিপি বাকী সহ তাদের সহযোগীদের বিচার ও ছাত্রী হোস্টেলে নিরাপত্তাসহ ৯ দফা দাবিতে কলেজ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করে। সে সময় শিক্ষকরা দোষীদের শাস্তির আশ্বাস দেয়ার পর মানববন্ধন প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। হোস্টেলে বসবাসরত ছাত্রীরা অভিযোগ করেন, এরইমধ্যে পূর্ণরায় সোমবার রাত ১১টার দিকে বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছাত্রী হোস্টেল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তারা আন্দোলনরত ছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে নানা কটুক্তি করে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে ছাত্রীরা সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবিতে হোস্টেলের অভ্যন্তরেই বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে। রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে এ বিক্ষোভ মিছিল। খবর পেয়ে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শাখাওয়াত হোসেন ঘটনাস্থলে ছুটে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। একপর্যায়ে ছাত্রীনিবাসে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। তবে পুলিশ এ ঘটনার সাথে কাউকে আটক করতে পরেনি। ঘটনার এক ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে আসেন শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ মোঃ শহিদুল ইসলাম সহ অন্যান্য শিক্ষকেরা। এ সময় ছাত্রীদের সাথে মুখোমুখী আলোচনায় বসে শিক্ষকেরা বলেন, দোষীদের বিচার করতে না পারলে তারা পদত্যাগ করবেন।

এ ব্যাপারে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ঘটনার পরপরই তিনি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছেন। কেউ থানায় এখনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও ওসি উল্লেখ করেন।