বরিশালে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূতে পিঠমোড়া করে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন

নিজস্ব সংবাদদাতা, গৌরনদী, ২৪ জানুয়ারি ॥ দু’লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবিতে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বড়াকোঠা গ্রামের এক গৃহবধূকে বুধবার রাতে পিঠমোড়া করে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করেছে পাষন্ড স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, প্রেমের সম্পর্কে গত দু’বছর পূর্বে বড়াকোঠা গ্রামের নিহার রঞ্জন শীলের পুত্র গোপাল শীলের সাথে পাশ্ববর্তী বানারীপাড়া উপজেলার চাখার ইউনিয়নের খলিশাকোঠা গ্রামের বিনয় শীলের কন্যা শিখা রানীর বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই যৌতুকলোভী পাষন্ড স্বামী গোপাল শীল ও তার পরিবারের লোকজনে দু’লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ শিখা রানীকে শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে পাষন্ড স্বামী গোপাল ও তার পরিবারের লোকজনে গৃহবধূ শিখা রানীর হাত ও পা পিঠমোড়া করে বেঁধে শারিরিক নির্যাতন করে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গৃহবধুর শিখা রানীর কাকি কনক শীল সাংবাদিকদের জানান, হিন্দু ধর্মের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ নেই। তাই এতোদিন নির্যাতন সহ্য করেও শিখা তার স্বামীর বাড়িতে পরে রয়েছিলো। এ দুর্বলতার কারনে পাষন্ডরা তাদের নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। তিনি নির্যাতিতা শিখা রানীর পার্শ্বে দাঁড়ানোর জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।