বরিশালে পুলিশ-শিবির রণক্ষেত্র ১৫ জন আহত ॥ ছয়জন গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশাল নগরীর সদর রোডে শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে পুলিশ ও ছাত্র শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে। এতে দু’পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বিএনপি ও শিবিরের চার নেতা-কর্মী এবং রাতে আরো দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, বিএনপি ও জামায়াতের কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নগরীর সদর রোডে পুলিশের অনুমতি না নিয়ে ছাত্রশিবির মিছিল বের করলে পুলিশ তাদের বাঁধা দেয়। এসময় শিবিরের নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুঁড়ে মারে। এতে কনস্টেবল মুক্তার আক্তারসহ দু’জন কনষ্টবলের মাথা ফেঁটে রক্ষাক্ত জখম হয়। পরবর্তীতে পুলিশ মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে। এতে বিএনপিসহ ১৮ দলের ১৩ জন নেতা-কর্মীরা আহত হয়। একপর্যায়ে পুলিশ বিএনপি ও শিবিরের চার নেতা-কর্মীকে আটক করে। মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল আহসান শাহিন জানান, পুলিশ নেতা-কর্মীদের ওপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়েছে। এতে মহানগর বিএনপির নেতা মনিরুজ্জামান ফারুক, যুবদল নেতা জিয়া সিকদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মাহবুবুর রহমান পিন্টুসহ কমপক্ষে ১৩ জন নেতা-কর্মী আহত হন। কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাখাওয়াত হোসেন জানান, শিবিরের নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা করলে তারা আত্মরক্ষায় লাঠিচার্জ করেন। পরবর্তীতে পুলিশ মহানগরের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, শিবির কর্মী ফিরোজ, কাওসার ও মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার করে।

অপরদিকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় শুক্রবার গভীর রাতে কোতয়ালী মডেল থানায় দেড়’শ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদি কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) আহসান কবির জানান, মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা দেড়’শ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ শুক্রবার গভীর রাতে নগরীর বাংলাবাজার এলাকা থেকে মহানগর জামায়াতের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন মাসুম ও কর্মী মোঃ কবির মিয়াকে গ্রেফতার করেছে।