পুলিশ যা পারে…

উজিরপুর সংবাদদাতা ॥ হিংস্র জামায়াত শিবিরকে দমন করতে ব্যর্থ পুলিশ এবার বরিশালের উজিরপুরের বড়াকোঠার গাজীরপাড় গ্রামের দুবাই ফেরত যুবককে জামায়াত শিবির কর্মী বলে গ্রেফতার করে ১৫১ ধারায় আদালতে সোপর্দ করেছে। ফিরতি বিমানের টিকিট ও পাসপোর্ট দেখিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি তার। আদালত গতকাল বুধবারওই যুবককে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। পুলিশের হয়রানির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন উজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জাসদ নেতা আবুল কালাম আজাদ বাদল। পুলিশের দাবী তার পরিবারের সবাই জামায়াত।

জানা গেছে, গত দুই মাস আগে দুবাই থেকে ছুটিতে আসা আবুল কালাম মল্লিকের পুত্র জিহাদ মল্লিক নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিল। রাত ১২টার দিকে উজিরপুর থানার এস,আই লুৎফর রহমান তার বাড়িতে হানা দিয়ে ঘুমন্ত জিহাদকে জামায়াত শিবির কর্মী অভিযোগ তুলে গ্রেফতার করে। তাৎক্ষণিক ভাবে জিহাদের পরিবার আগামী ৬ ফেব্রুয়ারী তার দুবাই যাওয়ার রিটার্ণ টিকিট ও পাসপোর্ট দেখিয়ে আকুতি করে। কিন্তু পুলিশ তাকে ছাড়তে নারাজ। এক পর্যায়ে বড়াকোঠা ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জিহাদ কোন দল করে না বলে পুলিশকে জানালে উল্টো পুলিশ তাদেরকেও গ্রেফতারের হুমকি দেয়। নিরাপরাধ জিহাদকে গ্রেফতারের ঘটনায় বড়াকোঠা এলকায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, পুলিশ চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে না পারলেও নিরাপরাধ যুবক জিহাদকে জামায়াত শিবির অজুহাত তুলে অযথা হয়রানি করছে যা মানবাধিকার লংঘনের সামিল।

এদিকে অভিযুক্ত এস,আই লুৎফর রহমান জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃত জিহাদের পরিবারের সকলেই জামায়াত কর্মী। তার পিতা বড়াকোঠা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির। উজিরপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন তার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ আছে গ্রেফতারকৃত যুবক নাশকতা ঘটাতে পারে। তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।