৩১০ বছর পর চাঁদশী শিতলা মন্দির নির্মানের উদ্যোগ

নিজজস্ব সংবাদদাতা ॥ দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী বরিশালের গৌরনদী উপজেলার চাঁদশী এলাকার ৩১০ বছরের পুরনো শিতলা মায়ের মন্দির নির্মানের কাজ অবশেষে শুরু করা হয়েছে। প্রাচীন এ মন্দিরটি নবরূপে সাজানোর জন্য একনিষ্ঠ ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বর্তমান মন্দির কমিটির সভাপতি ও চাঁদশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কান্ত দে।

জানা গেছে, ১৭০৩ সনের ২২ এপ্রিল নির্মিত এ মন্দিরের ঘরটি নির্মানের জন্য ইতিপূর্বে বিভিন্নস্থানে ধর্ণা দিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন পূর্বের মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দরা। অবশেষে সর্বপ্রথম বর্তমান সভাপতি কৃষ্ণ কান্ত দে’র নিজস্ব অর্থায়নে মন্দির নির্মানের কাজ শুরু করা হয়। পরবর্তী সময়ে বর্তমান সরকারের আর্থিক অনুদান, পূজারী ও গ্রামবাসীদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সহযোগীতার মাধ্যমে এখন সমান তালে এগিয়ে চলছে এ মন্দির নির্মানের কাজ। প্রাচীন এ মন্দিরটি আরো আধুনিক হিসেবে গড়ে তোলতে সভাপতি কৃষ্ণ কান্ত দে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ভক্তবৃন্দদের সহযোগীতা কামনা করেছেন।   

চাঁদশী শিতলা মায়ের মন্দিরের সেবাইত (ঠাকুর) হরিপদ চক্রবর্তী (৭০) বলেন, তার স্বর্গীয় পিতা কিরন চক্রবর্তী, ঠাকুর দাদা দিপেন্দ্র নাথ চক্রবর্তীও এ মন্দিরের সেবাইত ছিলেন। তাদের বংশীয় ভগিরাত ঠাকুর ৩১০ বছর পূর্বে শীতলা মায়ের মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত করেন। সেই থেকে তাদের বাড়ির নাম হয় শীতলা বাড়ি। কারো কারো কাছে টিকা বাড়ি, ভগিরত ঠাকুরের বাড়ি নামেও এ বাড়িটি পরিচিত। তিনি আরো বলেন, যেকোন রোগবালাই থেকে মুক্তি পেতে শীতলা দেবীর মন্দিরে মানত করে আরোগ্য লাভ করেন। বাৎসরিক পূজা উপলক্ষ্যে প্রতিবছর এখানে তিন দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়।