আগৈলঝাড়া ডাক্তারদের গ্রুপিং এর কারণে রোগীর মৃত্যু – এক ডাক্তার ৭ দিনে ৮টি ফার্মেসীতে রোগী দেখায় ব্যস্ত

আগৈলঝাড়া সংবাদদাতা ॥ আগৈলঝাড়া স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে রোগী মারা গেলেও ডাক্তারদের কিছু যায় আসে না। গত ৩ ফেব্রুয়ারী বিকেল  ৪টা ৪৫ মিনিটে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে অসুস্থ্য অবস্থায় এক গৃহবধূকে চিকিৎসার জন্য আনা হলে জরুরী বিভাগেকোন ডাক্তার পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে ডাক্তার না থাকায় মৃত্যুর কাছে হার মানতে হয় গৃহবধূর।

স্থানীয়সূত্রে জানাগেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সার্বক্ষনিক দায়িত্বে থাকা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুবল কুন্ড তার দায়িত্ব পালন না করে সপ্তাহের ৭ দিনই রোগী দেখছেন বিভিন্ন ফার্মীতে। সপ্তাহের শুরুতে শনিবার ও বুধবার আগৈলঝাড়া সদর ভাই ভাই ফার্মেসী, রবিবার জোবারপাড় রায় ফার্মেসী ও বারপাইকা গীতা ফার্মেসী, সোমবার বাশাইল শিকদার মেডিকেল ভালুকশী, মঙ্গলবার গৌরনদী উপজেলার রামসিদ্ধি বাজারের নিখিল ফার্মেসী, বৃহস্পতিবার নাজিরপুর, শুক্রবার মুলাদী উপজলায় সারাদিন রোগী দেখার কাজে ব্যস্ত থাকেন। আগৈলঝাড়া, গৌরনদী, মুলাদীসহ মোট তিনটি উপজেলায় সপ্তাহে ৮টি ফার্মেসীতে ডা. সুবল কুন্ড রোগী দেখার কাজে ব্যস্ত থাকায় তার দায়িত্ব প্রাপ্ত আগৈলঝাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের অনেক সময় চিকিৎসা না পেয়ে চলে যেতে হয় অন্যত্র অথবা চিকিৎসা না পেয়ে বরণ করতে হয় মৃত্যুকে। এমনি ঘটনা ঘটেছে গত ৩ ফেব্রুয়ারী। উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের হওলা গ্রামের তপন বাইনের স্ত্রী ১ সন্তানের জননী গীতা বাইন (৩২) অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে আসে। ওই সময়ে কোন ডাক্তারকে পাওয়া যায়নি এমকি আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুবল কুন্ড পূর্বে নির্ধারিত ফার্মেসীতে অবস্থান করছিলেন বলে জানাযায়।  চিকিৎসা না পেয়ে গীতার মৃত্যু হয়। জানাযায় ওই সময়ে স্বাস্থ্য ও পঃপঃ র্কমকর্তা ডা. সেলিম মিয়া, ডা. আব্দুল্লাহ  আল মামুনের হাসপাতালে থাকার কথা থাকলেও তারা অন্যত্র অবস্থান করছিলেন। অপরদিকে হাসপাতালের আবাসিক ভবনে ডা. সুবল কুন্ডুর স্ত্রী ডা. ইষ্মিতা রায় নুপুর অবস্থান করলেও রোগীকে চিকিৎসা প্রদান করেননি বলে রোগীর স্বজনদের অভিযোগ।

এব্যাপারে বরিশাল সিভিল সার্জন ও স্থানীয় প্রশাসনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এঘটনায় হাসপাতালের টি.এইচও সহ ৪জন ডাক্তারকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজ করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার কৌশল অবলম্বন না করার দাবী জানান স্থানীয়রা। ডা. আব্দুল্লাহ  আল মামুন দায়িত্বের বিষয়টি পঃ পঃ কর্মকর্তা তাকে অবহিত করেনি বলেন তিনি জানান। ব্যাপারে বরিশাল সিভিল সার্জন ডা. এটিএম  মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান একজন এম.আর ডাক্তারের সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে থাকার কথা থাকলেও অভিযুক্ত ডা. সুবল কুন্ড সহ অপর ডাক্তারদের হাসপাতালে পাওয়া যায়নি।