Menu Close

গৌরনদীতে ইউএনও’র কার্যালয়ে ঢুকে দুই ইউপি সদস্যকে মারধরের অভিযোগ

Up members are attacked on uno office 06 may 2025

বরিশালের গৌরনদীতে ইউএনও অফিসের একটি কক্ষে ঢুকে দুই ইউপি সদস্যকে মারধর ও অফিসের চেয়ার ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির কতিপয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারীর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহত ইউপি সদস্যরা হলেন—নলচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য ইসমাইল হোসেন হীরা ও ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মামুন খলিফা। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

আহত ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন হীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রকল্পের টাকা আত্মসাতসহ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে নলচিড়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম হাফিজ মৃধার অনাস্থা চেয়ে আমরা ইউএনও’র কাছে আবেদন করেছি। ওই অভিযোগের তদন্তভার কৃষি অফিসারকে দেওয়া হয়। অভিযোগের শুনানির দিন ধার্য ছিল মঙ্গলবার বিকেল চারটায়। আমরা যাতে উপজেলায় সাক্ষ্য দিতে না পারি এজন্য ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপির লোকজন সেখানে জড়ো করে রাখে।
এরপরও আমি (হীরা) ও ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মামুন খলিফা শুনানির সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার বিকেল তিনটার দিকে ইউএনও অফিসের অফিস সহকারী আব্দুর রব ও রমনী রঞ্জন বিশ্বাসের কক্ষে অবস্থান করি। আমাদের সেখানে অবস্থানের খবর পেয়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু বকর গাজী, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফুয়াদ হোসেন এ্যানীর নেতৃত্বে বিএনপির ২০-৩০ জন নেতাকর্মী আমাদের ওপর হামলা চালায়।

এ সময় হামলাকারীরা আমাকে ও মামুন খলিফাকে মারধর করে এবং অফিসের ২/৩টি চেয়ার ভাঙচুর করে। এ সময় ইউএনও স্যার অফিসে ছিলেন না।

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু বকর গাজী বলেন, হামলার ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। তবে, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে ওই দুই ইউপি সদস্য স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছিল। বিএনপির নির্যাতিত নেতাকর্মীরা এ হামলা করেছে বলে আমি শুনেছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আরা মৌরি বলেন, দুপুরে সাইড ভিজিটের জন্য অফিসের বাইরে ছিলাম। এরই মধ্যে হামলার খবরে অফিসে এসে দুর্বৃত্তদের পাওয়া যায়নি। হামলাকারীরা অফিস সহকারীর কক্ষে ঢুকে হামলা চালিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এতে অফিসের কয়েকটি চেয়ার ভেঙে গেছে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গৌরনদী থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ফোর্স পাঠানো হয়। তবে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই হামলাকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Related Posts