Menu Close

মজিবর মাঝির মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া পপির প্রতিবাদ

Arif filling station tarakupi kataksthal gournadi barishal

গৌরনদীর ফিলিং স্টেশন নিয়ে করা সংবাদ সম্মেলনকে “সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর” দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রকৃত মালিক দাবি করা সুমাইয়া পপি। তিনি বলেন, “আমার ফুফু ও সৎ চাচা শরীফ বেপারী, হিরা মাঝি ও মানিক মাঝি যে মিথ্যাচার করে সংবাদ সম্মেলন করেছে, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।”

তিনি দাবি করেন, তাদের দাদার সম্পত্তির অংশ তারা নিজেরাই আগেই বিক্রি করে দিয়েছেন। টরকীর ওয়াজেদ আলী সুপার মার্কেটটি সালমা, রওশন, কুদ্দুস ও শরীফ বেপারী জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন। এছাড়া মৃত শাহআলম বেপারীর এতিম মেয়ে ও বিধবা স্ত্রীকে নানা রকম নির্যাতনের মাধ্যমে বাসা থেকে বের করে দিয়ে সম্পত্তি ও দোকান জোরপূর্বক দখলে রেখেছেন।

তিনি আরও বলেন, “আমার বড় চাচার কাছে গেলেই প্রমাণ পাওয়া যাবে—ফুফুরা তাদের অংশের জমি বিক্রি করে দিয়ে জমির মূল্যের বিনিময়ে অংশ বুঝে নিয়েছেন এবং ভোগদখলও করছেন। সব দলিলপত্র আমাদের কাছে রয়েছে।”

পপি অভিযোগ করেন, “টরকীর মার্কেটের আয় ও অর্থ আত্মসাৎ করা হচ্ছে, ওয়ারিশদের প্রাপ্য অর্থও দেয়া হচ্ছে না। আজ তারা হিরা মাঝি ও মানিক মাঝির অবৈধ অর্থ লোভে পড়ে মিথ্যা মারধরের নাটক সাজাচ্ছেন। কিন্তু পাপের ফল একদিন ভোগ করতেই হবে—‘ওয়েট অ্যান্ড সি’। সব প্রমাণ, কাগজপত্র আমাদের কাছে রয়েছে।”

তিনি আরও জানান, “পাম্পের লাইসেন্স জেলা প্রশাসক মহোদয় আমাদের নামে দিয়েছেন। সাবেক ইউএনও আবু আব্দুল্লাহ খান এবং বর্তমান ইউএনও রিফাত আরা মৌরী ও গৌরনদীর এসিল্যান্ড মো. রজিব স্যার শুনানি শেষে আমাদের পক্ষেই রায় দিয়েছেন।”

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নিয়ে পপি বলেন, “হিরা মাঝির জামাই ও মানিক মাঝির ছেলে সিফাত মাঝি ১২ লাখ ৭০ হাজার, মানিক মাঝি ১১ লাখ ৯০ হাজার, ৮ লাখ ও ২ লাখ—মোট ৩৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা আমাদের কাছ থেকে নিয়েছেন, যার সব প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে। তারা এখন টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়েছে। মারধরের অভিযোগও ভিত্তিহীন, কারণ ঘটনার সময় আমি ঢাকায় অবস্থান করছিলাম।”

Related Posts