রিতিমতো এখন আতংকিত। তার (রুবির) ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের হামলা ও মিথ্যে মামলা দিয়ে পুলিশ দিয়ে হয়রানির ভয়ে ওই পরিবারগুলো এখন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। রুবির হাত থেকে রেহাই পায়নি তার বৃদ্ধ শশুড় আলী হোসেন হাওলাদারও। এ ব্যাপারে রুবির স্বামী খোকন হাওলাদার নিরব ভূমিকা পালন করেছন। দানবী ও প্রভাবশালী এ নারীর হাত থেকে রেহাই পেতে অসহায় পরিবারগুলো প্রসাশনের উর্ধ্বনতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার উত্তর নাঠৈ গ্রামের।
জানা গেছে, ওই গ্রামের খোকন হাওলাদারের স্ত্রী রুবি বেগম (৩৫)। কারনে অকারনে এলাকার নিরিহ গ্রামবাসীদের পুলিশ ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে হয়রানী করাই হচ্ছে তার কাজ। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ির বাহিরে থাকা ও অপরিচিত লোকজনদের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় চলাফেরা করা রুবি বেগমকে শাসন করতে গিয়ে ইতোমধ্যে একাধিকবার হামলার স্বীকার হয়েছে তার বৃদ্ধ শশুড় আলী হোসেন। একই কারনে রুবি বেগম একাধিক মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন তার দেবর আনিচ হাওলাদার, চাচাতো দেবর আব্দুল হক হাওলাদার, পাশ্ববর্তী বাড়ির মানিক হাওলাদার, আলমগীর সরদার, ইউনুস আলী, আব্দুস সোবাহান ও কালাম হাওলাদারকে। গত মঙ্গলবার রাতে উল্লেখিত ব্যক্তিদের ফাঁসাতে নিজ ঘরের পার্শ্বে আগুনের নাটক সাজিয়ে গ্রামবাসীর হাতে ধরা পরে সু-চতুর রুবি। এ ঘটনায় এলাকাবাসি উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান ও পাশ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরীর কাছে বিচার প্রার্থনা করেন। তিনি (মেরী) বিচারের আশ্বাস দেয়া সত্বেও সু-চতুর রুবি বেগম প্রতিপক্ষের লোকজনকে ফাঁসাতে উল্টো থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ দিয়ে ওইসব পরিবারকে হয়রানি শুরু করেন।
রুবির চাচাতো দেবর আব্দুল হক জানান, তার (রুবির) অপরিচিত লোকজনদের সাথে গভীর রাত পর্যন্ত চলাফেরায় তাকে জঙ্গী সংগঠন হিজবুত তাওহীদের সক্রিয় সদস্যা বলে গ্রামবাসী চিহ্নিত করেছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রুবি বেগমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরই সে ফোনের লাইন বিছিন্ন করে বন্ধ করে রাখেন।
উল্লেখ্য, জঙ্গী সংগঠন হিজবুত তাওহীদের বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে গৌরনদী উপজেলার সাকোকাঠী গ্রাম থেকে। ওই গ্রামের মান্নান মীর ৬ জেলার আমীরের দায়িত্ব পালন করছেন। তার অধীনে রয়েছে প্রায় ৫’শতাধিক প্রশিক্ষিত ও সু-চতুর নারী সদস্যা।