আগৈলঝাড়ায় সেটেলমেন্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিস্তার অভিযোগ

সাইদুর রহমান স্বপন ॥ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সেটেলমেন্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি,ঘুষ ও অনিয়মের ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রধানমন্ত্রী,ভুমিমন্ত্রী ও বরিশাল জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ দায়ের। উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের পশ্চিম বাকাল গ্রামের মৃত.তৈয়ব আলী মিয়ার ছেলে আ.জলিল এর লিখিত অভিযোগে জানাযায়, তাদের পৈত্তিক সম্পত্তি  ৩২নং শিববাড়ী মৌজার ১৬৬নং খতিয়ানের ১৮০,১২৬,২৩১,১১৮নং দাগের ২একর ৭৩ শতাংশ সম্পত্তি ১৫৫নং ডিপিতে দুই ভাই জলিল ও খলিল সহ তাদের দুই ফুপুর নামে মাঠ জরিপে রেকর্ড হয়। ওই সম্পতির ওয়ারিশ অনুযায়ী ফুপু সাজু বিবি ২৬ শতাংশ সম্পত্তি পেলে তার কাছ থেকে বাকাল গ্রামের করিম ফকিরের ছেলে কবির ফকির ১একর ৩৮ শতাংশ জমি প্রতারনার মাধ্যমে দলীল সম্পাদন করেছেন বলে জানাযায়। ওই সম্পত্তি ৩০ ধারায় ওয়ারিশ অনুযায়ী রেকর্ড হয়।  ওই রেকর্ডের বিরুদ্ধে কবির ফকির ৩১ ধারায় একটি আপিল মামলা জলিল গংদের বিরুদ্ধে আগৈলঝাড়া সেটেলমেন্ট অফিসে দায়ের করেন যার নং ৪২৪০ । দির্ঘদিন ওই মামলা চলার পরে চলতি বছরের ৮মে কবির ফকিরের কাছ থেকে উৎকোচের বিনিময়ে উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের সার্কেল অধীর চন্দ্র কর্মকার অবৈধ ভাবে জলিল গংদের পৈত্রীক সম্পত্তি থেকে ১ একর ৩৮ শতাংশ সম্পত্তি কেটে কবির এর নামে রেকর্ড করে দেয়। ওই কর্মকর্তার কাছে দরিদ্র অসহায় ভুক্তভোগীরা বার বার ধর্না দিয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে জলিল মিয়া, প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, ভুমি মন্ত্রনালয়, ভুমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর, বরিশাল জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস ও বরিশাল জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এব্যাপারে আগৈলঝাড়ায় সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা অধীর চন্দ্র কর্মকার দুর্নীতি,ঘুষ ও অনিয়মের কথা অস্বিকার করে সাংবাদিকদের জানান, কবিরের দলীল অনুসারে আমি রেকর্ড দিয়েছি। তারা পুনরায় আপিল না করে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন।