আগৈলঝাড়ায় চাঁদা দাবি করায় যুবলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সরকারি কাজে চাঁদার দাবি নিয়ে যুবলীগের দু’গ্র“পের মধ্যে দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। এ সময় একটি দোকান ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়েছে। গুরুতর আহতদের বরিশাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আহত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রতœপুর ইউনিয়ন পরিষদের টিআর প্রকল্পের আওতায় ছয়গ্রামের একটি রাস্তা সংস্কারের জন্য স্থানীয় আনোয়ার হোসেনের পুত্র ও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা সুমন মৃধাকে প্রকল্পের সভাপতি করা হয়। ওই প্রকল্প থেকে মিশ্রিপাড়া গ্রামের রহিম শরীফের পুত্র ও প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা জুয়েল শরীফ বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করে আসছে। সুমন গত সোমবার রাতে রতœপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম মোস্তফা সরদারের কাছে চাঁদার ব্যাপারে অভিযোগ করেন। ওইদিন রাতে সুমন বাড়ি ফেরার সময় মিশ্রিপাড়া বটতলা নামকস্থানে পৌঁছলে জুয়েলের নেতৃত্বে ১৫/২০জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সুমন ও তার সাথে থাকা পান্নু ভুইয়া, ইউপি সদস্য পান্নু বালি ও কালু মৃধার ওপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাদের এলোপাথারি ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় আহতদের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা বীরদর্পে স্থান ত্যাগ করেন।পরবর্তীতে এলাকাবাসি আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে আগৈলঝাড়া ও তাৎক্ষনিক আশংকাজনক অবস্থায় আহতদের বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে। এ নিয়ে মঙ্গলবার সকালে দ্বিতীয় দফায় সুমনের সমর্থকদের সাথে প্রতিপক্ষ জুয়েল ও তার সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নান্না শরীফ, ফয়সাল শরীফ, জলিল শরীফ, চঞ্চল শরীফ, রাশেদ রাঢ়ী, শাহাবুদ্দিন ভুইয়া, জুয়েল শরীফ আহত হয়। একপর্যায়ে সুমনের সমর্থকেরা ছয়গ্রাম বাজারের জুয়েলের পিতা রহিম শরীফের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। খবর পেয়ে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ নিয়ে উভয়গ্র“পের সমর্থকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।