আগৈলঝাড়ায় যৌণ হয়রানির কারনে মাদ্রাসা ছাত্রীর পড়ালেখা বন্ধ – থানায় অভিযোগ

আগৈলঝাড়া সংবাদদাতা ॥ যৌণ হয়রানির ধারাবাহিকতার কারণে আগৈলঝাড়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীর পড়ালেখা বন্ধ। ছাত্রীর থানায় লিখিত অভিযোগ।

ভুক্তভোগি ছাত্রীও তার পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের মামা শাহাদাৎ কালাইমানিকের বাড়ি থেকে স্থানীয় মহিলা মাদ্রাসায় পড়া লেখা করত উজিরপুর উপজেলার সাতলা গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা মরিয়ম বেগমের মেয়ে আলেয়া (১৩)। বিকৃত লালসার জন্য আলেয়ার উপর কু-নজর পরে একই গ্রামের প্রবাসি সোহেল মিয়ার ছেলে বাগধা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শফিকুর রহমানের। আলেয়া মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে গত দু’বছর যাবত শফিকুর তাকে বিভিন্নভাবে যৌণ হয়রাণি করে আসছিল। আলেয়া যৌণ হয়রাণি ও প্রেম নিবেদনের কথা তার মামার পরিবারকে জানালে মামা শাহাদাৎ স্থানীয় গন্যমান্য ও মাদ্রাসা সুপারকে ঘটনা জানালে তারা এনিয়ে শালিশ বৈঠকে বসে। তবে বখাটে শফিকুর বরাবর ওই বৈঠকে উপস্থিত না হয়ে শালিশদের অপমান সূচক কথা বলে এলাকায় নিজের প্রভাব বিস্তার করে। এর পর থেকে ওই ছাত্রির মাদ্রাসায় পড়া লেখা বন্ধ রয়েছে। এমন ঘটনায় একাধিকবার শালিশ বৈঠক প্রত্যাখ্যান করে শফিকুর। গত ২৬ জুন শফিকুর ওই ছাত্রির জন্য তার এক সহযোগি দিয়ে একটি মোবাইল সেট পাঠায়। এঘটনা ছাত্রি তার পরিবারকে জানালে তার পরিবার স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমগীর মিয়া, প্রাক্তন ইউপি সদস্য আ. কাদের, স্থানীয় আলহাজ্ব হোসেন মিয়া, আ. মজিদ মিয়া, খোরশেদ আলম সহ গন্যমান্যদের জানালে তারা পুণঃরায় শালিশ বৈঠক বসাতে চাইলে তাও প্রত্যাখ্যান করে বখাটে শফিকুর। পরে অসহায় ছাত্রির পরিবার গত ৩ জুলাই যৌণ হয়রানির অভিযোগ এনে শফিকুরের বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। আগৈলঝাড়া থানায় এসআই আলাউদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ডিজির পর তিনি সরেজমিনে যাওয়ার পর থেকে অভিযুক্ত শফিকুর পলাতক রয়েছে।