বিএনপি নেতার ‘মা বদল’

(ভূয়া নাম) ব্যবহার করে সম্পত্তির কাগজপত্র তৈরি করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসি তাকে সমাজচুত্যও করেছেন। আর এ গুরুতর অভিযোগটি হচ্ছে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল লতিফ মোল্লা বিরুদ্ধে। এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ মোল্লার ভাই আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, আব্দুল মজিদ মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, চাকুরির সুবাধে আমরা ঢাকায় অবস্থান করি। বোন ফাতেমা বেগম, রাবেয়া বেগম, বকুল বেগম, রহিমা বেগম, হালিমা বেগম ও মঞ্জু বেগম স্বামীর বাড়িতে থাকেন। আমার জেষ্ঠ ভাই ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল লতিফ মোল্লা বাড়িতে থাকেন। সে সুবাধে তিনি চলতি মাঠ জড়িপের পর্চায় আমাদের গর্ভধারনী মা বরু বিবিকে মৃত দেখিয়ে নাম পরিবর্তন করে আমেনা বেগম নাম দিয়ে পৈত্রিক সমস্ত সম্পত্তি তার নামে রেকর্ড করিয়ে নেয়। আমরা খবর পেয়ে গ্রামের বাড়িতে আসলে তার পুত্র হারুন-অর রশিদ মোল্লাকে দিয়ে একাধিক মিথ্যে ও ষড়যন্ত্র মূলক মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করে। এ খবর আমাদের বৃদ্ধা মা জানতে পেরে অসুস্থ্য হয়ে পরেন। শষ্যাশয়ী বৃদ্ধা বরু বিবি (৯০) বলেন, আমার মৃত্যুর পর লতিফ যেন আমার জানাজায় অংশগ্রহন না করে।

লতিফ মোল্লার প্রতিবেশী কালুরপাড় গ্রামের করিম মোল্লা, আইয়ুব আলী, সেলিম আহম্মেদ, শাহজাহানসহ অনেকেই জানান, লতিফ মোল্লা কর্তৃক এসব ন্যাক্কারজনক কাজ করার কারনে অতিসম্প্রতি বৈঠকের মাধ্যমে তাকে (লতিফ মোল্লাকে) সামাজিক ভাবে সমাজচুত্য করা হয়। অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল লতিফ মোল্লা বলেন, প্রতিপক্ষ কিছু বিএনপি ও আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীর সাথে আমার ভাই-বোনরা মিলে আমার বিরুদ্ধে কুসরা রটাচ্ছে।