যুক্তরাষ্ট্রের ইরান বিরোধী নীতির বিরাধীতা করেছে রাশিয়া

বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এক তরফা নিষেধাজ্ঞার বিরোধীতা করে একে অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেছেন। মস্কো থেকে আমাদের সংবাদদাতা জানিয়েছেন, সের্গেই রিয়াকোভ রুশ রেডিওকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ইরানের ওপর মার্কিন এক তরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরোধীতা করেছেন। তিনি বলেন ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগের কোন কারণ নেই এবং মস্কো মনে করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাঠামোর বাইরে থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপের যে কোন পদক্ষেপ অগ্রহণযোগ্য। রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিনও সম্প্রতি মার্কিন টিভি চ্যানেল সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছিলেন ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং ইরানের পক্ষ থেকে কোন হুমকি নেই। একই সাথে তিনি পরমাণু জ্বালানি ব্যবহারে ইরানের অধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিমাদের ধারণা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বা চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে ইরানকে নতজানু হতে বাধ্য করা যাবে। আর এ কারণেই সম্প্রতি জেনেভায় পরমাণু বিষয়ে ছয় জাতিগ্রুপের সাথে ইরানের আলোচনায় আগামীতে তুরস্কে আবারও আলোচনায় বসার বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হলেও কেউ কেউ আবার হুমকি কিংবা নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। এ থেকে বোঝা যায় যুক্তরাষ্ট্র মিথ্যা অভিযোগ তুলে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে চায় যাতে সব ক্ষেত্রে ইরানের উন্নয়ন অগ্রগতি থামিয়ে দেয়া যায়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের এ চেষ্টা এখন পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে। যাইহোক, রুশ কর্মকর্তারা এমন সময় ইরানের ওপর মার্কিন এক তরফা নিষেধাজ্ঞার বিরোধীতা করলেন যখন বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্প্রতি জেনেভায় অনুষ্ঠিত বৈঠক পারস্পরিক সহযোগিতা বিস্তারের বিরাট সুযোগ এনে দিয়েছে। কেননা সকল পক্ষ ইরানের প্যাকেজ প্রস্তাবের নিয়ে আলোচনা করতে সম্মত হয়েছে।

এতে কোন সন্দেহ নেই যে, সব বিষয়েই ইরানের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রস্তাব রয়েছে এবং ইরানের প্রধান পরমাণু আলোচক সাইদ জালিলি গত জুন মাসে ইউরোপের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন এশটোনকে এসব প্রস্তাব তুলে ধরেছিলেন। তাই ছয় বিশ্ব শক্তি যদি আলোচনা কিংবা পারস্পরিক সহযোগিতার ব্যাপারে আন্তরিক হয় তাহলে পরমাণুসহ আন্তর্জাতিক নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিস্তারের বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।