মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইন লংঘনের অভিযোগ

পর এক নির্বাচনী আইন ভঙ্গ করায় রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ৩টি অভিযোগ করা হয়েছে। আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এনায়েত হোসেন গত বুধবার অভিযোগগুলো দাখিলের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করেছেন।

অভিযোগ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা আ’লীগের মেয়র প্রার্থী খায়রুল আলম খোকন বেপারী নির্বাচনী আইন ভঙ্গ করে গত ১জানুয়ারী কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ হলরুমে ছাত্রলীগের কর্মী সভায় মাইকিং করে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করে। ৩জানুয়ারী কালকিনি-ভূরঘাটাসহ বিভিন্ন সড়কে মটর সাইকেল মহড়া দিয়ে নির্বাচনী প্রতিক নিয়ে মিছিল করে। এ ঘটনায় ভোটারদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি ও আইন শৃঙ্গলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়াও ৪জানুয়ারী উপজেলা কোর্ট চত্ত্বরে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে মটর সাইকেল মহড়া দিয়ে আনারস মার্কার মিছিল ও জনসভা করে উদ্দেশ্যমূলক অশালিন বক্তব্য প্রদান করে। প্রতিনিয়ত তিনি এভাবে নির্বাচনী আইন ভঙ্গ করে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার শিল্পি আঃ সত্তার বয়াতী বাদ্যযন্ত্রসহ দলবল নিয়ে মাইক ও ইজিবাইকে সারাদিন পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে আ’লীগ মেয়রপ্রার্থী খায়রুল আলম খোকন বেপারী ও তার প্রতিক আনারস মার্কার ব্যাপক প্রচারণা শেষে সন্ধা সাড়ে ৬টায় ব্যস্ততম সড়ক মাছ বাজার মোড়ে বাদ্যযন্ত্রের সাথে গান গেয়ে বিশাল জনসমাগমের জড়ো করে। এ সময় গান গেয়ে খায়রুল আলম খোকন বেপারীর গুণ কীর্তন ও তার প্রতিকের ভোট চাওয়া হয়। শ’শ’ লোক গান শুনে আনন্দ-উল¬াস করলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘বাদ্যযন্ত্রের সাথে গান গেয়ে লোক জড়ো করে রাস্তা আটকিয়ে সমাগম করলে এটা নির্বাচনী আচারণ বিধির লংঘন। এ ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক সত্যতা প্রমানিত হলে তার ব্যাপারে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। অভিযোগ প্রসঙ্গে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এনায়েত হোসেন বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন উপলক্ষে আমি এ অভিযোগ দাখিল করেছি’। যোগাযোগ করা হলে রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের ব্যবহুত মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।