বিক্ষোভ হচ্ছে আরো অন্তত সাতটি শহরে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী, মঙ্গলবার কায়রোর তাহরির স্কয়ারে দশ লাখ মানুষ সমবেত হয়েছে। এছাড়া বন্দর নগরী আলেকজান্দ্রিয়া, সুয়েজ, মনসুরা, দামোয়ার, অ্যারিশ, তান্তা ও এল মহল্লা এল-কুবরা শহরেও বিক্ষোভে নেমেছে হাজার হাজার মানুষ।
এদিন সকাল থেকেই বিক্ষোভকারীরা তাহরির স্কয়ারে জড়ো হতে শুরু করে।
বিক্ষোভকারীরা জাতীয় পতাকা ও ‘বিদায় মুবারক’ লেখা ব্যানার উড়িয়ে মুবারকের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেয়।
শুক্রবারের মধ্যে মুবারককে ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের সাবেক প্রধান পরমাণু অস্ত্র পরিদর্শক মোহাম্মদ এল বারাদি।
আল-আরাবিয়া টেলিভিশনকে বারাদি বলেন, “আজ অথবা শুক্রবার বিষয়টির সমাধান হবে। আগামী শুক্রবারকে তারা ‘প্রস্থানের শুক্রবার’ বলেছে। কিন্তু আমি আশা করি তার আগেই সরে যাবেন মুবারক এবং ৩০ বছরের শাসনের ইতি টেনে জনগণকে একটি সুযোগ দেবেন। তিনি আরো রক্তপাত দেখতে চান তা আমি আশা করি না।”
বিক্ষোভ থামাতে মুবারক সোমবার নতুন অর্থ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ দেন। কিন্তু মন্ত্রিসভায় রদবদল নয়, মুবারকের পদত্যাগই বিক্ষোভকারীদের একমাত্র দাবি।
মিশরের রাজনৈতিক দল ওয়াফদ এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রেসিডেন্ট মুবারক ক্ষমতায় থাকার বৈধতা হারিয়েছেন। এছাড়া বিরোধী গ্র”পগুলো দেশটির বর্তমান অস্থিরতা সামলাতে ‘একটি জাতীয় ফ্রন্ট’ গঠনে একমত হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
মিশরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্ভাব্য সহিংসতার ভয় দেখিয়ে বিক্ষোভকারীদের ঘরে থাকার পরমার্শ দেওয়া হয়। তাছাড়া বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে রেলওয়ে যোগাযোগ বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
বিক্ষোভকারীরাও মিশরে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
ওদিকে, মিশরে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত ফ্রাঙ্ক উইজনারকে বিশেষ দূত হিসেবে কায়রো পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার মিশর ছাড়তে মরিয়া বিদেশিদের ভিড়ে কায়রো বিমান বন্দরে হৈ চৈ বেঁধে যায়। এদিন প্রায় এক হাজার মার্কিন নাগরিককে সাইপ্রাস ও তুরস্কে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বেকারত্ব, দারিদ্র্য ও দুর্নীতির প্রতিবাদে ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুক ও টুইটারে সংগঠিত হয়ে মঙ্গলবার থেকে মিশরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করে জনতা।
দেশটিতে বিক্ষোভকারী-পুলিশ সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ১২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।