স্ট্রবেরি চাষে ভাগ্য ফিরেছে মিন্টুর

(সোনা মিয়ার পুল) বাসিন্দা হুমাউন কবির মিন্টু। তার দাবী বরিশালের মাটি অত্যন্ত উর্বর যে কারনে বীজ রোপন স্ট্রবেরি চাষে ভাগ্য ফিরেছে মিন্টুরকরলেই তাতে অংকুর গজায় ও সঠিক নিয়মে পরির্চযা করলেই  অংকুর পূনাঙ্গ গাছে রুপ নেয় এবং ফল পাওয়া যায়। শীত প্রধান দেশের এই ফলকে চাষ করে তিনি প্রতি মাসে ৬০ হাজার টাকা আয় করতে চাঁন। তিনি এই শীতে স্ট্রবেরি ফল ও চারা বিক্রি করে প্রায় ২ লক্ষ টাকা আয় করেছেন। 

সফল কৃষক হুমাউন কবির মিন্টু বলেন, বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক অত্যন্ত  সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও রসালো ফল স্ট্রবেরি। ফলগুলো পাকলে টক ও মিষ্টি লাগে। ইচ্ছা থাকলে যে কেউ বাড়ির ছাদের টবে স্ট্রবেরি চাষ করতে পারে। ইলেকট্রিক কাজের পাশাপাশি নিজ বাড়ির পাশে ৩০ শতক জমির উপর ১ম বারের মতো স্ট্রবেরি চাষ করছি। টিভিতে স্ট্রবেরি উপর অনুষ্ঠান দেখে গত বছর নভেম্বর মাসে রাজশাহী থেকে মাত্র ১ হাজার  চারা (প্রতিটি ৩০ টাকা) ক্রয় করে এনে রোপন করি। তার ঠিক ২ মাস পরে গাছে প্রচুর ফল ধরে। প্রতিদিন এ ক্ষেত থেকে আমি ৮’ শ টাকা কেজি দরে ২ থেকে আড়াই কেজি স্ট্রবেরি বিক্রি করেছি।

তিনি আরো জানান, ১ম বার বলে অন্যাণ্য এলাকার মতো অধিক উৎপাদন ও অধিক লাভ করতে না পারলেও আগামীতে এটি লাভজনক হবে বলে তিনি মনে করেন। নিজের মেধা ও মনকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে কৃষি কাজকে আরো আধুনিক ও পরিবেশ সম্মত করতে মূলত তার এ কাজে জড়িয়ে পড়া। ইতোমধ্যে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন স্থানে তার উৎপাদিত স্ট্রবেরি চাহিদা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে । এখন প্রয়োজন শুধু এর বাজার সৃষ্টি করা।

জেলা কৃষি কর্মকর্তা বিকাশ ইন্দু মন্ডল বলেন, বরিশাল নগরীতে প্রথম বারের মতো স্ট্রবেরি চাষ হয়েছে। শীত প্রধান দেশে এ ফলের উৎপাদন ভালো হয়। স্ট্রবেরি চাষে তেমন কোন ব্যায় হয় না। সঠিক পরিচর্যা হলে ভাল ফলন পাওয়া যায়।

জেলা সিভিল সার্জন অনিল দত্ত জানান, লিচুর মতো আকৃতির এ পুস্টিকর স্ট্রবেরি হৃদরোগের উপকার,এইডস রোগীদের পুষ্টিহীনতা দুর করে, জুস তৈরী , কসমেটিক্সের কাঁচা মাল,জীবনী শক্তি সঞ্চার,ক্যান্সার প্রতিরোধসহ বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধে কার্যকরি ভূমিকা রাখে।