দেশে ফিরেই কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচী দেবেন খালেদা

ঘোষণা করেবেনBNP Bangladesh বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ খবর জানা গেছে। আন্দোলনের কর্মসূচির পাশাপাশি দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি  সিদ্ধান্ত ও তিনি ঘোষণা করবেন বলে ঐ সূত্র জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপির হাতে আন্দোলন করার মতো অনেকগুলো ইস্যু রয়েছে। এসব ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে বড় ধরনের সমাবেশ, হরতালÑঅবরোধ লংমার্চসহ নানা কর্মসূচির কথা ভাবা হচ্ছে। এমনকি আগামী ৪ এপ্রিল ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটি ও ইসলামী ঐক্যজোট ঘোষিত হরতালে বিএনপি সমর্থন ঘোষণা করতে পারে। পাশাপাশি মহান মে দিবস উপলক্ষে ঢাকায় একটি বড় ধরনের সমাবেশ আয়োজনের ঘোষণা করা হতে পারে।
সূত্রের মতে, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সমুহের মধ্যে রয়েছে, দলের মহাসচিব পদের স্থায়ী সমাধান, ঢাকা সিটি বিএনপির কমিটি ঘোষণা, বহিস্কৃত নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করে তাকে পূর্বের ভাইস চেয়ারম্যান পদে পূর্ণবহাল করা।

সূত্র মতে, বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কারণে বিএনপি তাদের আন্দোলনের কর্মসূচি স্থগিত রেখেছিল। বিশ্বকাপ ক্রিকেট শেষ হলেই তারা আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি দেবেন। পূর্বের এ ঘোষণার তারা বাস্তবায়ন করবেন।

দলীয় সূত্র জানায়, সৌদি আরবে চিকিৎসা গ্রহণ শেষে আগামী ২ এপ্রিল দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া। আর দেশে ফেরার পরপরই পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম-মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবেন দলের চেয়ারপারসন। এরপর স্থায়ী কমিটি বৈঠক ডাকবেন তিনি। সে বৈঠকেই আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ও দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তসমূহ গ্রহন করবেন।

দলীয় সূত্র জানায়, মহান মে দিবস পালন উপলক্ষে ঢাকায় একটি বড় ধরনের সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পূর্ব প্রস্তুতি শুরু করেছে দলটি। বিশ্বকাপ ক্রিকেট শেষ হওয়ার পরে সরকারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের আন্দোলনের চেষ্টায় এ সমাবেশকে টার্গেট করা হয়েছে। দলের এক শ্রেণীর নেতা কর্মী এ সমাবেশকে সাফল্য করতে ভেতরে ভেতরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ব্যানারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, এবারের আন্দোলন হবে আগের আন্দোলনের চেয়ে একধাপ এগুনো। আন্দোলনের স্বাভাবিক কর্মসূচি, যেমন, সভা-সমাবেশ, আলোচনাসভা তো থাকবেই, ইস্যুভিত্তিক রোডমার্চ ও লংমার্চ এমনকি অবরোধ ও হরতালও থাকতে পারে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য জানান, লাগাতার হরতালও থাকতে পারে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, চেয়ারপারসন সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরার পর দলের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় ফয়সালা করবেন। তিনি বলেন, ম্যাডাম ফেরার পরই দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ওই বৈঠকে আলাপ আলোচনা করে কিছু সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি বলেন,  চেয়ারপারসনের ঘোষণা অনুযায়ী সরকারবিরোধী আন্দোলন অবশ্যই হবে। বিভিন্ন ইস্যুতে ব্যর্থতা এবং দমননীতির কারণে সরকারের জনপ্রিয়তা কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে তা সরকার আগামী নির্বাচনে অনুধাবন করতে সক্ষম হবে। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিরোধী দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব সরকারের ব্যর্থতাগুলো চিহ্নিত করে জনসম্মুখে তুলে ধরা। সে লক্ষ্যে আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি।

স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন মারা যাওয়ায় শূন্য হয়ে পড়া মহাসচিব পদ পূরণ ও ঢাকা মহানগর কমিটি গঠনসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা রয়েছে। আন্দোলনের কর্মপরিকল্পনাও গ্রহন করা হতে পারে।