খুনী রেজাউলের সিকদার ভিলা বিক্রি করার পায়তারা

বড় ভাইকে আবার রিমান্ডে আনা হতে পারে। তাছাড়া বড় ভাইকে জামিনে বের করতে হবে। এ জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। তাই এ বিপুল পরিমান অর্থের যোগান দিতে সর্বসম্মতিক্রমে তার সু-বিশাল ঘরটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামি দু’এক সপ্তাহের মধ্যেই বড় ভাইকে জামিনে বের করা হবে”। এভাবেই বুলি ছেড়ে গতকাল বৃহস্পতিবার টরকী বন্দরের খুনী রেজাউলের টর্চার সেল বলেখ্যাত “সিকদার ভিলা”-টি বিক্রি করার জন্য রেজাউলের সহযোগী ক্যাডাররা বিভিন্ন স্থানে ধর্ণা দিয়েছেন। কিন্তু খুনী রেজাউলের সু-বিশাল “সিকদার ভিলাটি” ক্রয় করতে কেহই রাজি হচ্ছেন না। বরিশালের ঐহিত্যবাহী গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দরের অসংখ্য ব্যবসায়ীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে উল্লেখিত তথ্য গুলো জানিয়েছেন।

সূত্রমতে, খুনী সিকদার সফিকুর রহমান রেজাউলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও অন্যতম ক্যাডার আল-মাদানী, মনু মোল্লা, সলেমান হোসেনের নেতৃত্বে ৭/৮ জন ক্যাডাররা গতকাল বৃহস্পতিবার দিনভর বন্দরের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে “সিকদার ভিলা” বিক্রির জন্য ধর্ণা দিয়ে ব্যর্থ হয়। তাদের (রেজাউলের ক্যাডারদের) বুলিতে আবারো টরকী বন্দরের ব্যবসায়ীদের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে। বন্দরের ব্যবসায়ীদের মতে, পিতৃ হত্যার মামলা থেকে বড় ভাই সেনা কর্মকর্তার ক্ষমতার দাপটে রেহাই পেয়ে সন্ত্রাসী রেজাউল আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এবার চতুর্থ স্ত্রী কামরুন নাহার নাদিয়াকে হত্যার পর গ্রেফতার হয়ে রিমান্ডে স্বীকারোক্তি দেয়ার পরেও যদি খুনী রেজাউল জামিনে বেরিয়ে আসে তাহলে আইনের প্রতি সাধারন মানুষদের আর শ্রদ্ধা থাকবে না। স্থানীয় ভুক্তভোগীরা সন্ত্রাসী ও খুনী রেজাউলের ক্যাডারদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রসাশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছন।

একটি গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, চাঞ্চল্যকর নাদিয়া হত্যার মুল রহস্য উদঘাটনে রেজাউলের দেহরক্ষী সালমা তালুকদারকে গ্রেফতারের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার সাদাপোষাকে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় অভিযান অব্যাহত রেখেছে। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সালমা তালুকদারের আগৈলঝাড়া উপজেলার চেংগুটিয়া গ্রামের বাড়িতে ও তার নিকট আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে সাদাপোষাকের আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের কড়া নজরদারি রয়েছে। চেংগুটিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন জানান, তাদের গ্রামের কৃষক বেল্লাল হোসেন তালুকদারের কন্যা সালমা তালুকদার। সালমা ২০০১ সালে গৌরনদী পৌরসভায় কর পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলো। সে সময় স্থানীয় এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তির সাথে অসামাজিক কার্যকলাপের সময় জনতার হাতে ধরা পরে। ওই বছরই সালমা গৌরনদী থেকে ফরিদপুর পৌরসভার কর পরিদর্শক হিসেবে যোগদান করে। তিনি আরো জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার দিনভর তাদের এলাকায় সাদা পোষাকের ৫/৬ জনের একটি দল যাতায়াত অব্যাহত রেখেছে। এ ব্যাপারে গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নুরুল ইসলাম-পিপিএম’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছুই গোপন রাখা হয়েছে।