শনিবার লিটন মিতালীর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে মিতালীকে গালমন্দসহ নানা ধরনের হুমকি প্রদর্শন করে। হুমকির মুখে উপায়অন্তুর না পেয়ে অভিমানী মিতালী দরিদ্র পিতার সম্মান রক্ষার্থে রবিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে নিরর্জন ঘরে বিষপান করে। কিছু সময় পর তার বাবা-মা বাড়িতে ফিরে মিতালীর ঘোঙ্গানীর শব্দ শুনে মেয়েকে মুর্মুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথিমধ্যে মিতালী মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে। আত্মহত্যার খবর ছড়িয়ে পরলে বখাটে লিটন রায় আত্মগোপন করে। খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার সকালে মিতালীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে প্রেরন করে। এ ঘটনায় মিতালীর পিতা বিনয় মন্ডল বাদি হয়ে সোমবার দুপুরে লিটন রায়কে আসামি করে আগৈলঝাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
ওইদিন রাতেই আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস.আই জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে পয়সারহাট এলাকা থেকে বখাটে লিটনকে গ্রেফতার করে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে বখাটে লিটনকে ধিক্কার জানাতে থানা কম্পাউন্ড এলাকায় উৎসুক জনতা ভীড় করে।