হত্যা মামলার আসামি কর্তৃক বিধবাকে জিম্মি করে ধর্ষণের অভিযোগ ॥ চাঁদাদাবি

বাবুল বাহাদুর হত্যা মামলার অন্যতম আসামি খসরু বাহাদুর ও তার সহযোগীরা এক বিধবাকে জিম্মি রেখে ধর্ষণ করে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খসরু ও তার সন্ত্রাসী সহযোগীদের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ ও এলাকাবাসির সাথে আলাপকালে জানা গেছে, বিগত বিএনপি ও জামায়াতের চারদলীয় জোট সরকারের আমলে খসরু ও তার সন্ত্রাসী সহযোগীরা ওই গ্রামের বাবুল বাহাদুরকে নৃশংশভাবে খুন করে। আলোচিত ওই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আসামি খসরু ও তার সহযোগীরা এলাকার নিরিহ জনগনকে জিম্মি করে চাঁদা আদায়, মাদক ব্যবসা ও নারীর সম্ভ্রমলুটে মেতে ওঠে।

মধ্য চাত্রিশিরা গ্রামের সেকান্দার বাহাদুর গত ১ বছর পূর্বে স্ত্রী, ৭ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তান রেখে মারা যায়। অসহায় ওই পরিবারকে জিম্মি করে রাখে খসরু ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী একই গ্রামের আবুল কাসেমের পুত্র একাধিক মামলার আসামি লিটু বাহাদুর, মজিদ সরদারের পুত্র ফিরোজ সরদার।

বিধবা রাবেয়া বেগম লিখিত অভিযোগে জানান, খসরু ও তার সহযোগীরা অস্ত্রের ভয়দেখিয়ে তাকে জিম্মি করে সম্ভ্রব্য লুটে নেয়। এ কথা কাউকে জানালে তাকেসহ সন্তানদের হত্যার হুমকি দেয় খসরু বাহিনী। সম্প্রতি ওই বাহিনীর লোলুপ দৃষ্টি পরে বিধবা রাবেয়ার অষ্টম শ্রেনীকে পড়–য়া কন্যা রেশমার ওপর। সন্ত্রাসীদের হাত থেকে কন্যাকে রক্ষা করতে বিধবা রাবেয়া তার কন্যাকে নারায়নগঞ্জের ফিরোজ রহমান নামের এক যুবকের সাথে বিয়ে দেন। শশুড় বাড়িতে বেড়াতে আসলে ফিরোজের কাছে ওই সন্ত্রাসীরা ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেয়া হলে হাত পা ভেঙ্গে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে রেশমার স্বামী ফিরোজ  রাতের আধাঁরে শশুড় বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। স্থানীয় নুরু বাহাদুর, আমিনুল ইসলাম, মমতাজ বেগমসহ অনেকেই অভিযোগ করেন, দু’বছর পূর্বে খসরু তার দলবল নিয়ে একই গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের বিধবা স্ত্রী বেবী বেগমের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে।

এছাড়াও বেবীর মেয়ে রেনু খানমকে (১৯) অপহরন করে পালানোর সময় জনতার হাতে ধৃত হয়। একই গ্রামের নুরু বাহাদুরকে হত্যার হুমকি দিয়ে ওই বাহিনী দেড়লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের গাছ লুটের সময় জনতার হাতে ধৃত হয় খসরু ও তার সহযোগীরা। স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করেন, বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে খসরু ও তার সহযোগীদের নির্মম নির্যাতন ও লোলুপ দৃষ্টি থেকে ওই এলাকার আওয়ামীলীগ সমর্থিত দারিদ্র পরিবারের কেউ রেহাই পায়নি। তারা খসরু ও তার বাহিনীর অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন।