আগৈলঝাড়ায় আটটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরন

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালের হিন্দু অধ্যুষিত আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরে তরুন প্রজন্মের নির্মিত গণজাগরন মঞ্চ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবি ও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে যখন গত ২০ দিন থেকে বিভিন্ন শে¬াগান এবং প্রতিবাদী আন্দোলন চলছিলো, ঠিক তখনই সোমবার রাতে জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত গৈলা ইউনিয়নের কালুপাড়া-শিহিপাশা সীমান্তবর্তী এলাকায় দুস্কৃতকারীরা একযোগে ৮টি শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। ফলে হিন্দু অধ্যুষিত ওই এলাকার জনগনের মাঝে চরম আতংক দেখা দিয়েছে। গণজাগরন মঞ্চের আয়োজকরা অভিযোগ করেন, এলাকায় নাশকতার জন্য জামায়াত-শিবিরের জঙ্গী ক্যাডাররা শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। ঘটনার পর পরই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি।

জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে এসব বোমার বিস্ফোরন ঘটানো হয়েছে। গৈলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লাল্টু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গৈলার হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় একাধিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গঠিত গণজাগরণ মঞ্চের নির্বাহী সমন্ময়ক শোয়েব ইমতিয়াজ লিমন বলেন, উপজেলা সদরের গণজাগরণ মঞ্চ থেকে প্রতিদিন যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিসহ জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে যখন তাদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে, ঠিক সে সময় জামায়াত অধুষ্যিত এলাকায় এ বোমা বিস্ফোরনের ঘটনাটি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির মাথাচারা দিয়ে ওঠার ঈঙ্গিত জানিয়ে দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এ বোমা বিস্ফোরনের ঘটনাটি জামায়াত-শিবিরের জঙ্গী ক্যাডাররাই করেছে। কারন হিসেবে তিনি বলেন, গৈলার একটি মাদ্রাসার একজন শিক্ষকের নেতৃত্বে এলাকায় জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা গণজাগরন মঞ্চে হামলা চালানোর জন্য দীর্ঘদিন থেকে বৈঠক করে আসছিলো। আগৈলঝাড়া থানার ওসি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, ওই রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বোমা বিস্ফোরনের আলামত জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি উলে¬খ করেন।