দেলোয়ার সেরনিয়াবাত ॥ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল গ্রামে মাটির নীচ থেকে পাওয়া প্রায় কোটি টাকা মূল্যের একটি দেবতার স্বর্ণ মুর্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ঘটেছে তুলকালাম কান্ড। পুলিশ বলেছে তারা কিছুই জানেনা। মুর্তিটি নিয়ে চলছে লুকোচুরি খেলা। গত রবিবার (৩ মার্চ) রাত থেকে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পরলে উপজেলা সদরের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্র এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বাকাল গ্রামের আবুল হাওলাদারের কলেজ পড়–য়া পুত্র নয়ন হাওলাদার ও তার সহপাঠী একই গ্রামের যোশেফ মালাকারের পুত্র পরেশ মালাকার গত ২০ দিন পূর্বে নয়নের বাড়ির পেছনে হলুদ উঠাতে গিয়ে দু’থেকে আড়াই কেজি ওজনের একটি স্বর্ণের দেবতার মুর্তি পায়। প্রথমে বিষয়টি দু’জনের মধ্যে গোপনীয়তা বজায় রাখলেও পরবর্তীতে বিষয়টি বাড়ির পার্শ্ববর্তী জনৈক এলিন আক্তারের কাছে মুর্তি পাওয়ার ঘটনা খুলে বলে নয়ন। এসময় নয়ন তাকে মুর্তিটি দেখায় এবং বেশ কিছু ছবি তুলে রাখে। মুর্তিটি বিক্রি করে এলিনকে একটা বড় অংকের টাকা দেয়ারও কথা দেয় নয়ন। এরইমধ্যে প্রাপ্ত ওই মুর্তির নীচের একটা অংশ ৭৫ লক্ষ টাকায় নয়ন বিক্রি করে। সূত্রে আরো জানা গেছে, বিক্রিত টাকার ৫০ শতাংশ নয়ন নগদ পেয়েছে আর বাকি ৫০ শতাংশ টাকা পরে পাবে। মুর্তি বিক্রির কথা শুনে এলিন নয়নের কাছে তার প্রাপ্যতা চাইলে নয়ন তা দিতে নানাতালবাহানা শুরু করে। ফলে রবিবার রাত থেকে বিষয়টি স্থানীয়দের মধ্যে ফাঁস হয়ে যায়।
স্থানীয় জামে মসজিদের অসংখ্য মুসুল্লীরা জানান, অতিসম্প্রতি নয়ন মসজিদ উন্নয়নের জন্য ১০ লক্ষ টাকা অনুদান দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ ব্যাপারে নয়ন জানায়, গত ১৫/২০ দিন আগে সে ও তার বন্ধু পরেশ মিলে বাড়ির পার্শ্বে হলুদ ওঠাতে গিয়ে কাপড়ে মোড়ানো একটি মুর্তি পায়। সে ওই মুর্তিটির বেশ কয়েকটি ছবিও তুলে রাখে। নয়ন আরো জানায়, মুর্তিটি তার চাচা বাবুল হাওলাদারের কাছে থানায় জমা দেয়ার জন্য দেয়া হয়েছে। বর্তমানে মুর্তিটির কোন হদিস নেই। আগৈলঝাড়া থানার এস.আই আলী আহম্মেদ জানান, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সোমবার বিকেল পাঁচটা) থানায় কোন মুর্তি জমা দেয়া হয়নি।