নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বরাকোঠা গ্রামের এক প্রভাবশালী জামায়াত নেতার বাড়িতে শুক্রবার দুপুরে বোমা বানানোর সময় বিস্ফোরনে এক শিবির ক্যাডার গুরুতর আহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আহতর বাড়ি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার শোলঘর গ্রামে। এ ঘটনায় ওইদিন বিকেলে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বরাকোঠা গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেন ডাকুয়া জানান, বরাকোঠা নূরানীয়া হাফেজীয়া কওমী মাদ্রাসা সংলগ্ন মৃত আজাহার সিকদারের পুত্র ও প্রভাবশালী জামায়াত নেতা রিপন সিকদারের বাড়িতে শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে বোমার বিকট শব্দে গোটা এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। তাৎক্ষনিক এলাকাবাসি থানা পুলিশকে খবর দিয়ে ওই বাড়ির দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এসময় বাড়ির মধ্যদিয়ে মুর্মুর্ষ অবস্থায় বোমার আঘাতে রক্তাক্ত জখম এক যুবকে নিয়ে রিপন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা করে। একপর্যায়ে গ্রামবাসী তাকে ধাওয়া করলে আহত যুবককে ফেলে রিপন পালিয়ে যায়। উজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, আশংকাজনক অবস্থায় আহত শিবির কর্মী রুবেল মাতুব্বরকে (২২) উদ্ধার করে প্রথমে উজিরপুর ও তাৎক্ষনিক তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওসি আরো জানায়, আহত শিবির কর্মী রুবেলের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার শোলঘর গ্রামে। গত তিনদিন পূর্বে রুবেল তার বোনজামাতা বরাকোঠা গ্রামের জামায়াত নেতা রিপন সিকদারের বাড়িতে আসে। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় নাশকতা কর্মকান্ড ঘটাতে পাশ্ববর্তী খাটিয়ালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আদম আলী খানের পুত্র জেলা ছাত্র শিবিরের রোকন আজম খানের নেতৃত্বে স্থানীয় জামায়াত ও বিএনপির নেতৃবৃন্দরা দীর্ঘদিন থেকে গোপন বৈঠক করে আসছিলো। যে কারনেই বোমা বানানো হচ্ছিলো। ঘটনার পর থেকেই জামায়াত নেতা রিপন সিকদারের পরিবারের লোকজন বাড়ি-ঘর ছেড়ে আত্মগোপন করে। এ ঘটনায় পুলিশ ওইদিন বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে জামায়াত নেতা রিপনের মা রাবেয়া বেগমকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।