বরিশালে প্রেমিক কর্তৃক অন্তঃস্বত্তা প্রেমিকাকে হত্যার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্মপুর গ্রামের এক নিষ্ঠুর প্রেমিক কর্তৃক একই গ্রামের কলেজ পড়ুয়া অন্তঃস্বত্তা প্রেমিকাকে কৌশলে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারকে জিম্মি করে রাখায় এখনো মামলা দায়ের করতে পারেনি অসহায় ওই পরিবারটি। শুক্রবার দুপুরে নিহতের কাছে লেখা প্রেমিকের অসংখ্য চিঠি ও চিরকুট উদ্ধারের পর পরই পরিকল্পিত ভাবে হত্যার বিষয়টি পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পরে। অবশেষে নিজ এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করেছে প্রেমিক লোকমান হাওলাদার ও তার পরিবারের সদস্যরা।

নিহতের পিতা আব্দুস জব্বার হাওলাদার জানান, তার কন্যা ঝুমুর আক্তার উজিরপুর উপজেলার জল্লা আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। নিহতের পারিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ঝুমুরের সাথে একই গ্রামের মৃত আকবর আলী হাওলাদারের পুত্র লোকমান হাওলাদারের দীর্ঘদিন থেকে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো। সে সুবাধে লোকমান বিয়ের প্রলোভনে ঝুমুর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এতে ঝুমুর অন্তঃস্বত্তা হয়ে পরে। ঝুমুর অন্তঃস্বত্তার বিষয়টি প্রেমিক লোকমানকে জানিয়ে বিয়ের জন্য চাঁপ প্রয়োগ করে। এতে প্রেমিক লোকমান নানা তালবাহানা করে ঝুমুরের গর্ভপাত করানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। গত ৯ মার্চ রাতে কৌশলে লোকমান কবিরাজী ঔষধের সাথে বিষ মিশিয়ে ঝুমুরকে খাওয়ায়। এতে ঝুমুর অসুস্থ হয়ে পরলে ঝুমুরকে প্রথমে গৌরনদী ও তাৎক্ষণিক বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নেয়ার পথে ঝুমুর মারা যায়। সু-চতুর লোকমান তড়িঘড়ি করে ঝুমুরের পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে লাশের ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশের দাফন সম্পন্ন করে। সেই থেকে প্রভাবশালী লোকমান ও তার লোকজনে নিহত ঝুমুরের পরিবারকে জিম্মি করে রেখেছে। শুক্রবার দুপুরে লোকমানের লেখা ঝুমুরের কাছে দেয়া একাধিক চিঠি ও ঝুমুরের লেখা চিরকুট উদ্ধারের পর পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের রহস্য এলাকায় ফাঁস হয়ে যায়।

নিহত ঝুমুরের পিতা আব্দুস জব্বার হাওলাদার অভিযোগ করেন, প্রভাবশালী লোকমানের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা তাকে ও তার পরিবারকে জিম্মি করে রাখায় তিনি মামলা দায়ের করতে সাহস পাচ্ছেন না। এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানার ওসি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, শুক্রবার দুপুরে বিষয়টি লোকমুখে শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।