গৌরনদীতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার ॥  যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মধ্যদিয়ে রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার দৃপ্ত প্রত্যয়ে বরিশালের গৌরনদী প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার সকালে র‌্যালী, আলোচনা সভা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। সকাল ১০টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, বেসরকারি সাহায্য সংস্থা টিপিডিও’র এবং আইডব্লিউএফ’র যৌথ উদ্যোগে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদীর কটকস্থলে র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবিতে মহাসড়কে সাউদেরখালপাড়ে ঘন্ট্যাব্যাপী  মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে।

শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আবুল হাসেমের পুত্র সৈয়দ জাহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মনিরুল হক মনি, বিশেষ অতিথি ছিলেন গৌরনদী পৌর নাগরিক কমিটির সাধারন সম্বপাদক জহুরুল ইসলাম জহির, গৌরনদী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন মিয়া, আসাদুজ্জান মনির। বক্তব্য রাখেন শহীদ আলাউদ্দিন আলাউদ্দিন সরদার ওরফে আলা বকসের পুত্র লিটন আব্দুল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক চোকদার, আলহাজ্ব খান শামচুল হক, আব্দুল মজিদ সরদার, আঃ মালেক খান, খলিলুর রহমান মাঝি, মজিবুর রহমান মাঝি, আঃ ছালাম খান, কুদ্দুছ খান, কমান্ডার মোতালেব হোসেন, আঃ রব, আইডব্লিউএফের নির্বাহী পরিচালক কাজী আল-আমিন, টিপিডিও’র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আলী প্রমুখ। বক্তারা আগামি ৩০ জুনের মধ্যে সরকারি ভাবে স্মৃতিস্তম্ভ  নির্মাণের কাজ শুরু করা না হলে লাগাতার অনশনের হুমকি দেয়।

উল্লেখ্য, ৭১ সনের ২৫ এপ্রিল পাক সেনারা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক দিয়ে এ জনপদে প্রবেশের মাধ্যমে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। তাদের প্রবেশের খবর শুনে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা গৌরনদীর কটকস্থল (সাউদেরখালপাড়) নামকস্থানে হানাদারদের প্রতিরোধ করে। ওইসময় পাকিদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ হয়। ওই যুদ্ধে প্রথম শহীদ হন গৌরনদীর নাঠৈ গ্রামের সৈয়দ আবুল হাসেম, চাঁদশীর পরিমল মন্ডল, গৈলার আলাউদ্দিন ওরফে আলা বকস্ ও বাটাজোরের মোক্তার হোসেন। মুক্তিযোদ্ধাদের গুলিতে ওইদিন আট জন পাক সেনা নিহত হয়। এটাই ছিলো সড়কপথে দক্ষিণাঞ্চলের প্রথম সম্মুখ যুদ্ধ। আর এরাই হলেন প্রথম শহীদ।