বিশেষ প্রতিনিধি ॥ দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে বিসিসি’র নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদন্ধীতা করায় বরিশাল মহানগর যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক মাহমুদুল হক মামুনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করেছেন মহানগর যুবলীগের নেতৃবৃন্দরা। বুধবার রাতে মহানগর যুবলীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় বক্তারা এ দাবি করেন।
বরিশাল ক্লাবের অমৃত লাল দে মিলেনায়তনে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভা চলাকালীন মোবাইল ফোনে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক হারুন-অর রশিদ উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ব্যাক্তির চেয়ে দল বড়। আর শওকত হোসেন হিরনকে দলের সভানেত্রী ও মূলদল আ’লীগ তথা ১৪ দল সমর্থন করেছে। তাই দলীয় প্রার্থী শওকত হোসেন হিরনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে প্রতিদন্ধীতা করা মানে মূল দলের বিরুদ্ধাচারন। তিনি আরো বলেন, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের জন্য মামুনকে আনুরোধ জানিয়েছি। সে প্রত্যাহার না করলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। মহানগর যুবলীগের আহবায়ক নিজামুল ইসলাম নিজামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ বর্ধিত সভায় যুবলীগের নেতা-কর্মীরাও মেয়র পদে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় যুবলীগ নেতা মাহমুদুল হক মামুনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি করেন। সভায় বক্তারা দলীয় প্রার্থী শওকত হোসেন হিরনকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করার লক্ষ্যে সকলকে একযোগে কাজ করারও আহবান করেন।
অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আফজালুল করিম, আ’লীগ নেতা কে.এম জাহাঙ্গীর হোসেন, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক এ.এম মেজবা উদ্দিন জুয়েল, যুবলীগ নেতা জগলুল হায়দার, রফিকুল ইসলাম মানিক, জাকির হোসেন ডলার, জিয়াউর রহমান জিয়া, মিজানুর রহমান নাসিম, সফিউল ইসলাম বাবু, খোকন কবিরাজ প্রমুখ। যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক ও মহানগর যুবলীগের নেতাদের দাবিকে প্রত্যাখান করে বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী যুবলীগ নেতা মাহমুদুল হক খান মামুন বলেন, আমি কারো হুমকি ধামকি পরোয়া করিনা। নির্বাচন আমি করবো, এটাই আমার শেষ সিদ্ধান্ত।