বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বরিশালের কীর্তনখোলা নদীকে ভয়াবহভাবে দূষিত করছে নদীর তীরের প্রায় এক ডজন ডক-ইয়ার্ড। এ নদীকে ঘিরে এক দশক আগ থেকে অপরিল্পিতভবি গড়ে উঠেছে এসব ডক-ইয়ার্ড। পরিবেশ অধিদপ্তর এমন আটটি ডক-ইয়ার্ডকে চিহ্নিত করে দ্বিতীয় বারের মতো নোটিশ দিয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, লাল শ্রেনীভুক্ত এসব শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিবেশগত অনুমোদন ছাড়াই কার্যক্রম চালাচ্ছে। এরইমধ্যে আটটি ডক-ইয়ার্ড মালিককে দ্বিতীয় দফায় নোটিশ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ কার্গো-ভ্যাসেল ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সদস্য মোঃ ইউনুস মিয়া জানান, ২০০০ সন থেকে কীর্তনখোলাকে ঘিরে লৌহজাত কাচামাল দ্বারা জাহাজ নির্মান শিল্প গড়ে ওঠে। বরিশাল নগরী সংলগ্ন কীর্তনখোলা তীরের বেলতলা, দপদপিয়া, কেডিসি ও চরমোনাই এলাকায় এ ধরনের বেশ কিছু ডক-ইয়ার্ড রয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, কীর্তন খোলা তীর ঘেষে গড়ে ওঠা বেলাতলায় মেসার্স সুন্দরবন, মেসার্স সুরভী, মেসার্স কীর্তনখোলা ডক-ইয়ার্ডসহ ছোট বড় বেশ কয়েকটি নৌ-যান নির্মিত কারখানা দখল করে রেখেছে কীর্তনখোলার তীর। ডক-ইয়ার্ডগুলোর পাশেই রয়েছে পানি বিশুদ্ধকরনের জন্য ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট। প্রতিষ্ঠানগুলোর কঠিন বর্জ্য নিস্কাশিত হচ্ছে কীর্তনখোলা নদীতে। কীর্তনখোলার তীর দখল করে রাখা এসব প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে মেসার্স সুন্দরবন ডক-ইয়ার্ড, মেসার্স সুরভী, মেসার্স কীর্তনখোলা, মেসার্স কালাম খান, মেসার্স আনাম, মেসার্স হাওলাদার, মেসার্স পারাবাত ও মেসার্স ভোলা ডক-ইয়ার্ড।
এসব ডক-ইয়ার্ডগুলোর ব্যাপারে একাধিক ডক-ইয়ার্ডের মালিকদের সাথে মোবাইল ফোনে আলাপ করতে গেলে তারা এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।