আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আগৈলঝাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক অর্ধশতাধিক চারা গাছ কেটে নিয়েছে

আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মোঃ জসিম মোল্লার ভাই সেনা সদস্য জাকির হোসেন মোল্লা অভিযোগ করেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক ইউসুফ হোসেন মোল্লার সাথে দীর্ঘ দিন থেকে কালুপাড়া মৌজার তার পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে তারা বরিশাল সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পর ইউসুফ হোসেন মোল্লা ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে একাধিকবার বিরোধপূর্ন জমির গাছ কাটার চেষ্ঠা করেন। বিষয়টি জানতে পেরে জসিমের সহদর মোঃ জামাল মোল্লা বাদি হয়ে বরিশালের ওই আদালতে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। বিচারক গত ৫ মে দু’মাসের ও ১২ জুলাই আগামী ছয় মাসের জন্য ওই জমির ওপর স্তিতিবস্থা জারি করেন। আদালত থেকে নোটিশ জারি কারক আব্দুল মালেক সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় গন্যমান্যদের উপস্থিতিতে নোটিশ জারি করেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত ১৩ জুলাই থেকে ইউসুফ হোেেসন মোল্লার নেতৃত্বে তার ১০/১৫ জন সহযোগী ওই সম্পত্তির অর্ধশতাধিক মেহগনি গাছের চারা কাটতে শুরু করেন। এ সময় জসিম মোল্লা ও তার সহদররা বাঁধা দিলে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে জীবন নাশের হুমকি দেয়া হয়। হুমকির মুখে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তাৎক্ষনিক সেনা সদস্য জাকির হোসন থানায় গিয়ে বিষয়টি আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অশোক কুমার নন্দিকে জানান। এ সময় ওসি ইউসুফ হোসেন মোল্লাকে গাছ কাটতে নিষেধ করা সত্বেও গত দুই দিন যাবত আওয়ামীলীগ নেতা মেহগনির চারা গাছ কাটা অব্যাহত রেখেছেন।
গাছ কেটে নেয়ার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি অশোক কুমার নন্দি বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারির কপি পেয়ে আমি ইউসুফ হোসেন মোল্লাকে আদালতের নির্দেশ ছাড়া গাছ কাটতে নিষেধ করি।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার কথা অস্বীকার করে আগৈলঝাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক ইউসুফ হোসেন মোল্লা বলেন, আমাদের খরিদকৃত সম্পত্তিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে আমরা গাছ কেটে নেই। পুর্নরায়  বিবাদীরা গত ১২ জুলাই আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞার আদেশ এনেছে বলে আমি শুনেছি।