গৌরনদীতে মৃত্যু ব্যক্তির টিপ সহি জালিয়াতি

এনায়েত হোসেন মুন্না ॥  মৃত্যুর ৫ দিন পর এক ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে কোটি টাকার সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক আইনজীবী সহকারী সহ ৩ সহদরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে মামলা দায়েরের কথা বিবাদীপক্ষ জানতে পেরে চেয়ারম্যানের উপর চাপ প্রয়োগ সহ বাদীপক্ষকে অনবরত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

সোমবার বরিশাল মৃত ব্যক্তির ভাই মোঃ আবুল হাসেম খান বাদী হয়ে গৌরনদী সহকারী জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক এম এইচ কবির হোসেন মামলাটি গ্রহন করে বিবাদীদের প্রতি সমনজারীর নির্দেশ দেন। মামলার বিবাদীরা হচ্ছে, বরিশাল জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির সদস্য (মহুরী) একেএম মনিরুজ্জামান ফরিদ, তার ভাই মোঃ ইউসুব আলী খান ও মোঃ জামাল হোসেন।

বিবাদীরা গৌরনদীর শাহজিরা এলাকার মৃত হাচন আলী খান এর ছেলে। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী বিপুল চন্দ্র রায় জানান, বাদীর ভাই গৌরনদী শাহজিরা এলাকার বাসিন্দা মোঃ হোচেন খান ২০১২ সালের ৫ জুলাই ৯৬ বছর বয়সে মারা যান। মৃত হোসেন খান ছিলেন অবিবাহীত। এই সুবাদে বিবাদীরা পরস্পর যোগসাজসে হোচেন আলী খানের মৃত্যুর ৫ দিন পর তার নামে থাকা ৪০ একর সম্পত্তি ২০১২ সালের ১০ জুলাই জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল করে নেন। এসময় বিবাদীরা নিজেদের মধ্য থেকেই দাতা ও গ্রহীতা সেজে মৃত হোচেন আলী খানের টিপ সহী নকল করে ওই দলিল করেন।

তবে মৃত হোচেন আলী ছিলেন নবম শ্রেনী উত্তীর্ন। কিন্তু বিবাদীরা তরিঘরি করে দলিল বানাতে গিয়ে তারা তার স্বাক্ষরের স্থলে টিপ সহী দেন। এর কিছুদিন পর দলিল জালিয়াতির ঘটনা ফাস হয়ে গেলে মোঃ আবুল হাসেম খান ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে মৃত হোচেন আলীর জন্ম ও  মৃত্যু সনদ সংগ্রহ করে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। জন্ম ও মৃত্যু সনদে ৮ নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস,এম মঞ্জুর হোসেন মিলন স্বাক্ষর ও সিল মোহর প্রদান করেন।

এ ঘটনা বিবাদীপক্ষ জানতে পেরে চেয়ারম্যানের উপর চাপ প্রয়োগ করে ওই জন্ম ও মৃত্যু সনদ ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য হুমকি দেয় বাদীকে।