আগৈলঝাড়ায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মিথ্যে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার ॥  বরিশালের আগৈলঝাড়ায় গাছ কাটতে গিয়ে দায়ের কোপে নিজের পা কেটে পূর্ব শত্র“তা পূরণের জন্য প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে হয়রাণি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের আববৌলা গ্রামের মৃত আহম্মেদ হাওলাদারের ছেলে জয়নাল হাওলাদার ও বাড়ির অন্যান্য শরিকদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত একই বাড়ির খালেক হাওলাদারের সাথে বাড়ির জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধ সমাধানে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সমাধান বৈঠক বসলেও খালেক হাওলাদার সালিশদের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসছে। সম্প্রতি ঝড়ে একটি গাছ উপরে পরলে খালেক হাওলাদারের ছেলে হাবিব হাওলাদার ঝড়ে পড়া গাছ কাটতে গিয়ে আকস্মিকভাবে নিজের হাতের দায়ের কোপ লেগে হাবিবের বাম পা কেটে যায়। নিজের দায়ের কোপে পা কেটে যাওয়ার কৌশল নিয়ে হাবিব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে জখমি সার্টিফিকেট নিয়ে পূর্ব শত্র“তা পূরণের জন্য প্রতিপক্ষ জয়নাল হাওলাদারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে। গত ১২ জুন থানা পুলিশ জয়নালকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ  করেন।

সরেজমিন খালেকের দায়ের করা মামলার স্বাক্ষি বেলায়েত হাওলাদার বলেন, নিজের দায়ের কোপে হাবিবের পা কেটেছে, শুনেছি আমাকে স্বাক্ষি মানা হয়েছে, আমি কখনই বানোয়াট কথা বলতে পারবো না। স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি ফরিদ আহম্মেদ গাইন, মফছের হাওলাদার, কালাই সরদার, আক্কেল আলী হাওলাদার, কল্পনা বেগম, ঝর্না বেগম, চা দোকানী ইউনুস আলীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঝড়ে পড়া গাছ কাটতে গিয়েই নিজের হাতের দায়ের কোপে হাবিবের পা কেটেছে। পূর্ব বিরোধের প্রতিশোধ নেয়ার জন্যই জয়নালকে জড়িয়ে একটি বানোয়াট মামলা দায়ের করেছে খালেক। জয়নালের পরিবার ও স্থানীয়রা এই প্রহসনের মামলার সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয়ে মামলার বাদি খালেক হাওলাদার দাবি করেন তার দায়েরকৃত মামলার ঘটনাবলী সবই সত্য।