নলছিটিতে শিশু ও নারী উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা

আহমেদ আবু জাফর, ঝালকাঠি ॥  শিশু ও নারী উন্নয়নে যোগাযোগ কার্যক্রম শীর্ষক অবহিতকরন কর্মশালা জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে নলছিটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসানাত মোহাম্মদ আরেফীন এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন জেলা তথ্য অফিসার হাসিবুল হাসান। বিশেষ আলোচক ছিলেন সূর্যালোক নিউজের সম্পাদক হেমায়েত উদ্দিন হিমু।

এতে নলছিটি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জলিলুর রহমান, কুশঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী আশরাফ, ইউপি মহিলা মেম্বর রীনা বেগম ও সীমা রানী দাস প্রমুখ বক্তৃতা করেন। উপজেলা পরিষদে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় যৌতুক ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ মা ও শিশু স্বাস্থ্য পরিচর্যা, জন্মনিবন্ধন, পরিবেশ, স্যানিটেশন প্রভৃতি বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হয়। পরে অংশগ্রহণকারী জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবীদ, শিক্ষক, সাংবাদিক, এনজিও কর্মকর্তাসহ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা সুপারিশমালা প্রণয়ন করেন।

ধর্ষন চেষ্টা মামলা থেকে অব্যাহতির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরিত্রহীন ও লম্পট এক মহিলাকে ভিকটিম সাজিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়ারানীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে। বুধবার সকালে শহরের সানাই কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ঘটনাটিকে মিথ্যা ও সাজানো অভিযোগ করে মামলা থেকে অব্যাহতির দাবী করেন আসামী পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসি।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ঝালকাঠি সদর উপজেলার পাঞ্জিপুঁথিপাড়া আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা পারুল বেগমের ১০ বছর বয়সী কন্যাকে কটুক্তি ও ঈভটিজিং করে বাদী পাখি বেগমের পুত্র ফয়সাল। এ নিয়ে মামলার ৩নং আসামী ১০ বছর বয়সী নয়ন মৃধার সাথে বাকবিতন্ডা ঘটলে নয়নকে পাখি বেগম জুতাপেটা করে। এনিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এই সুযোগে একটি চক্রের ঈন্ধনে ঘটনাটিকে অন্যখাতে প্রবাহিত করতে উল্টো এদের বিরুদ্ধে ধর্ষন চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগ এনে মামা ভাগ্নেসহ প্রতিবেশী এক দিনমজুরকে মিথ্যা এ মামলাটিতে জড়ানো হয়।

ঘটনার পরদিন বাদী পাখি বেগমকে (২৮) ভিকটিম সাজিয়ে ঝালকাঠি সদর থানায় ধর্ষন চেষ্টা, মারপিট ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে মিথ্যা মামলা (নং ০৮/৯৫ ধারা ২০০০ এর ১০ তৎসহ ৩২৩/৫০৬) দায়ের করে। অসৎ চরিত্রের মহিলা দিয়ে যখন যার প্রয়োজনে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে আবাসনের বাসিন্দাদের। এছাড়াও চারিত্রিক দোষে একাধিকবার এলাকায় শালিস মিমাংসাও হয়েছে। সে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিচ্ছে আবাসনের কোন ঘটনায় তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে পর্যায়ক্রমে তাদেরকেও শায়েস্তা করা হবে।

ইতোমধ্যে মিথ্যা ও সাজানো নারী নির্যাতন মামলা থেকে রক্ষা পেতে আসামীরা মামলার কতকস্বাক্ষী ও এলাকার অর্ধশতাধিক বাসিন্দা স্বাক্ষরিত বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের ডিআইজি, ঝালকাঠি পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ও ঝালকাঠি নাগরিক ফোরামসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা মামলায় হয়রানী থেকে মুক্তি পেতে ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত এবং  মামলাবাজদের বিচারেরও দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে কীর্ত্তিপাশা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহিম, ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান, ব্যবসায়ী জাকির হোসেনসহ স্থানীয় আবাসনের বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।