বরিশালের আগৈলঝাড়ায় এক বখাটের উত্যক্তের কারণে (ভয়ে) রাংতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর এক ছাত্রী পরীক্ষা দিতে পারেনি বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযুক্ত বখাটে তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের চেঙ্গগুটিয়া গ্রামের দরিদ্র ওহিদুল হাওলাদারের মেয়ে ও রাংতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী আয়শা আক্তারকে সম্প্রতি স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করে আসছিল একই এলাকার সোহেল রশিদের বখাটে ছেলে সালমান রশিদ সহ ৩ জনের একটি দল। একাধিকবার নিষেধ করা হলেও বখাটের পরিবার প্রভাবশালী হাওয়ায় কারণে কারও কথা কর্নপাত করেনি তারা। গত মঙ্গলবার (২০জুন) সন্ধ্যায় আয়শা আক্তার তার নানু বাড়ি থেকে নিজ বাড়ির জাবার পথে রাস্তায় বখাটে সালমান রশিদ স্কুল স্কুলছাত্রী আয়শা পথরোধ করলে তার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে ধাওয়া করে বখাটে সালমান রশিদকে গণধোলাই দেয়। অন্য দুইজন বখাটে পালিয়ে যায়। এঘটনার পর বখাটেদের ভয়ে ওই স্কুলছাত্রী আয়শা আক্তার বুধবার ডিজিটাল প্রযুক্তি পরীক্ষা দিতে রাংতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যেতে পারেনি।
৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী আয়শা আক্তার বলে, আমি স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে সালমান রশিদ ও ২ বন্ধু মিলে উত্ত্যক্ত করতো। ওহিদুল হাওলাদার বলেন, আমার মেয়ে উত্যক্তের কথা আমাকে জানালে আমি সালমান রশিদ এর পরিবারকে একাধীকবার বলেছি। আমারা গরিব তারা প্রভাবশালী বলে আমি বারবার বলে কোন বিচার পাইনাই। এ ব্যাপারে রাংতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, আমার বিদ্যালয়ের ছাত্রী আয়শা আক্তার বখাটেদের ভয়ে পরীক্ষ দিতে আসতে পারেনি এ কথা তার পরিবার থেকে জানালে আমরা পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতাম এ এর বিহিত ব্যবস্থা নিতাম।
এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ পরিদর্শক মো. মাজহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, উত্যক্তের ঘটনায় স্কুলছাত্রীর পরিবার থেকে কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত সালমান রশিদ বলে, আমি স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করি নাই। স্থানীয়রা আমাকে মারধর করেছে।