আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও তার পরিবারকে সমাজচ্যুত

 

সভার সভাপতি ওয়াজেদ আলী মোল্লাসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল লতিফ মোল্লা ও তার সহদর আব্দুর রাজ্জাক মোল্লার সাথে বাড়ির সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। এর জেরধরে লতিফ মোল্লার পুত্র হারুন মোল্লা তার চাচা (রাজ্জাক মোল্লা) সহ এলাকার নিরিহ লোকজনদের জড়িয়ে একাধিক মামলা দায়ের করে হয়রানি শুরু করে। উক্ত মামলার আসামিরা দীর্ঘদিন থেকে গৈলার ঐহিত্যবাহি মোল্লা সমাজের লোকজনের কাছে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন। সমাজের লোকজনে বিরোধ মীমাংসায় লতিফ মোল্লাকে একাধিকবার সালিশ বৈঠকে ডাকলেও তিনি (লতিফ মোল্লা) বৈঠকে উপস্থিত না হয়ে নানা তালবাহানা শুরু করে।

 

 

এক পর্যায়ে গত ২৫ জুলাই রাতে স্থানীয় সুজনকাঠী মসজিদবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাশরুমে এক সামাজিক সভার আয়োজন করা হয়। সমাজের প্রবীন ব্যক্তি ওয়াজেদ আলী মোল্লার সভাপতিত্বে সভায় মোল্লা সমাজের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি লতিফ মোল্লা ও তার পরিবারকে সমাজচ্যুত করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে একটি রেজুলেশন করা হয়। তাদের সাথে সমাজের কেহ সম্পর্ক রাখতে পারবেনা বলেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

 

ওই সভায় উপস্থিত বিশিষ্ট সমাজ সেবক ইউসুফ হোসেন মোল্লা, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আরিফ হোসেন ফিরোজ, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন মোল্লা, হান্নান মোল্লা, সেকেন্দার আলী মোল্লা, ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন মোল্লা, যুবদল নেতা আবুল কালাম মোল্লা, জুয়েল মোল্লা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল লতিফ মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি সমাজচ্যুত করার ঘোষনার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার রাজনৈতিক ও সামাজিক সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য এ ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে।