বরিশালের গৌরনদী উপজেলার কটকস্থলে অবস্থিত ‘মেসার্স আরিফ ফিলিং স্টেশন’ নামে একটি পেট্রোল পাম্প ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে চলা মালিকানা বিরোধ এবং দখল চেষ্টার অবসান ঘটেছে। পাম্পের প্রকৃত মালিক মো. হারুনর রশিদ ও তার কন্যা সুমাইয়া পপির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও পাম্প মালিকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গৌরনদী উপজেলার কটকস্থলে নিজস্ব জমিতে ২০১৯ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ‘মেসার্স আরিফ ফিলিং স্টেশন’ চালু করেন মো. হারুনর রশিদ ও তার মেয়ে সুমাইয়া পপি।
তবে, সম্প্রতি হিরা মাঝি ও তার ভাই মানিক মাঝি ফরহাদ মুন্সির সঙ্গে একটি চুক্তির কথা বলে মালিকানা দাবি করতে শুরু করেন। তারা একাধিকবার লোকজন নিয়ে ফিলিং স্টেশনে হামলার চেষ্টা চালান। পাম্প মালিক হারুনর রশিদের অভিযোগ, হিরা মাঝির পক্ষে তার বাবা মজিবুর মাঝি ও ফরহাদ মুন্সির পক্ষে মানিক মাঝির নামে তার (হারুনর রশিদ) স্বাক্ষর জাল করে একটি চুক্তি তৈরি করা হয়, যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
অতি সম্প্রতি গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বদলির কারণে প্রশাসনের তদারকি কিছুটা শিথিল হলে, শনিবার সকাল ৯টার দিকে হিরা মাঝি ও তার ভাই পুনরায় হামলার চেষ্টা চালান। তবে খবর পেয়ে গৌরনদী থানা পুলিশ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাজিব হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে রোববার গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত আরা মৌরী ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাজিব হোসেন উভয় পক্ষকে ডেকে নথিপত্র যাচাই করে মূল মালিক হারুনর রশিদ ও তার কন্যা মোসাম্মাত পপি আক্তারের কাছে পাম্পটির মালিকানা বুঝিয়ে দেন।
প্রশাসন আরও জানায়, হিরা মাঝি ও মানিক মাঝি গং ভবিষ্যতে আর এই মালিকানা নিয়ে কোনো দাবি বা আপত্তি তুলতে পারবেন না। এই নির্দেশনার মাধ্যমে ‘মেসার্স আরিফ ফিলিং স্টেশন’ ঘিরে চলা দীর্ঘ বিরোধের অবসান ঘটে।