গৌরনদীতে ফুটবল খেলা নিয়ে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষে ১৫ জন আহত

হয়েছে। গুরুতর আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী, আহত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়দুলালী গ্রামের গোয়াল্লাটালির একটি অনাবাদি ভিটায় বার্থী একাদশ বনাম বড়দুলালী একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলার শেষের দিকে রেফারির কমান্ড নিয়ে উভয় দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে বাক-বিতন্ডা বাঁধে। এক পর্যায়ে বড়দুলালী একাদশের সমর্থকরা হামলা চালিয়ে বার্থী একাদশের খেলোয়াড় নাজমুল তালুকদার (১৬) ও স্বজল তালুকদারকে (১৬) আহত করে। এরজের ধরে ওইদিন সন্ধায় বড়দুলালী ও বার্থী গ্রামবাসীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে গৌরনদী থানার এস.আই মিজানুল হক একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। ওই ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বড়দুলালী গ্রামের আলামিন সরকার (১৮) ও বিপুল সরকার (২০) বার্থী বাজারে আসলে বার্থী গ্রামের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হামলা থামাতে গিয়ে স্থানীয় দেলোয়ার খান (৩২) ও সেকান্দার খান (৪৫) আহত হয়। একইদিন দুপুরে বার্থী গ্রামের বাসিন্দারা বড়দুলালী গ্রামের মামুন তালুকদারের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে।

তিন দফা হামলা ও সংঘর্ষে বার্থী গ্রামের নাজমুল তালুকদার, স্বজল তালুকদার, মামুন, শাওন তালুকদার, মইন তালুকদার, বড়দুলালী গ্রামের সুমন সরকার, শাহাবুদ্দিন সরকার, বিপ্লব হোসেন, ইয়ামিন সরকার, আলামিন সরকার, হামলা থাকাতে গিয়ে দেলোয়ার খান ও সেকান্দার আলী খানসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় গতকাল বার্থী গ্রামের পক্ষে আবু আব্দুল্লাহ তালুকদার বাদি হয়ে গৌরনদী থানায় বড়দুলালী গ্রামের ১২জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।