আগৈলঝাড়ার এক দিনমজুরকে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ

বসুন্ডা গ্রামের হতদরিদ্র সোনামদ্দিন ফকির (৬০)।

সোনামদ্দিন ফকিরের দেয়া লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, তার পুত্র রুবেল ফকির (৩৫) ঢাকায় সেনেটারীর কাজ করে কোনমতে সংসার চালায়। গত ২৮ আগস্ট রাত নয়টায় আগৈলঝাড়া থেকে গ্লোবাল পরিবহনের ১২ নাম্বার সিটে রুবেল তার কর্মস্থল ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। ওইদিন গভীর রাতে সোনামদ্দিন ফকিরের বাড়ির পাশ্ববর্তী আজিজ খানের বসত ঘরের সবাইকে অচেতন করে অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতকারীরা সর্বস্ত্র লুটে নেয়। ওই ঘটনায় আজিজ খানের স্ত্রী সেলিনা বেগম বাদি হয়ে ২৯ আগস্ট আগৈলঝাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ওইদিনই রাশিদা বেগম নামের এক মহিলাকে গ্রেফতার করে।

সোনামদ্দিন ফকির তার পুত্র রুবেল ফকিরকে নির্দোষ দাবি করে লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, পূর্ব শত্র“তার জেরধরে রুবেল ফকিরকে ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে। গ্লোবাল পরিবহনের আগৈলঝাড়ার কাউন্টার মাষ্টার সমীর জানান, ২৮ আগস্ট রাত নয়টার গাড়ির ১২ নাম্বার সিটের টিকেট কেটে রুবেল ফকির ঢাকার উদ্দেশ্যে আগৈলঝাড়া ত্যাগ করেন। ১১ নাম্বার সিটের যাত্রী আগৈলঝাড়া সদরের পাদুকা ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান জানান, তার পার্শ্বের সিটে (১২ নাম্বারে) বসে রুবেল ফকির ২৮ আগস্ট রাতে ঢাকায় যান।
মিথ্যে মামলা থেকে দিনমজুর পুত্র রুবেল ফকিরকে রক্ষা করতে হতদরিদ্র সোনামদ্দিন ফকির প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।